আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :
যশোরের ঝিকরগাছায় মধ্যযুগীয় কায়দায় পিলারের সাথে দড়ি দিয়ে পিঠমোড়া করে বেধে শারীরিক নির্যাতন, চুল কেটে মুখে চুনকালি মেখে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করার পর মামলা তুলে নেওয়ায় জন্য বাদিকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তা হীনতায় ঝিকরগাছা থানায় ২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী ফজিলা বেগম। জিডি নং ১৫৬, তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারী।
ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের মোঃ আঃ খালেকের পুত্র মোঃ শিমুল হোসেন (৪৮) এবং একই গ্রামের মৃত গোলাম মোড়লের পুত্র মোঃ আব্দুল কাদের (৫০) এর নাম উল্লেখ করে জিডিতে ফজিলা বেগম জানান , গত ২ ফেব্রুয়ারী তার উপর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় বিবাদী দ্বয়ের আত্মীয় স্বজনের নামে একটা মামলা দায়ের করি। ঝিকরগাছা থানায় মামলা নং ০২, তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারী। মামলা দায়ের করে থানা থেকে বাড়িতে পৌঁছালে বিবাদীদ্বয় আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টায় আমার বাড়িতে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে।
উল্লেখ্য গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের বেনেয়ালি কলাবাগান পাড়ায় মধ্যবয়সী নারী ফজিলা বেগমকে চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে দড়ি দিয়ে পিলারের সাথে বেধে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। যে খবর সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ঘটনায় ভুক্তভোগী ফজিলা বেগম ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তড়িৎ পদক্ষেপে ঘটনার রাতেই ৪ জন আসামি গ্রেফতার হয়। কিন্তু তারা পরদিনই আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাইরে আসে এবং ফজিলা বেগমকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখায়।
ঝিকরগাছা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অনিতা মল্লিক বলেন, ঘটনা জানার পরপরই আমরা ভুক্তভোগী মহিলার সাথে কথা বলেছি। তার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে লিখিত বিবরণ পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছি।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবলুর রহমান খান বলেন, ফজিলা বেগমের জিডি গ্রহণ তার নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।