নীতীশ রেড্ডি ও ওয়াশিংটন সুন্দর তখনই ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন যখন ভারতের এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৭৪ রানের জবাবে এক পর্যায়ে ২২১ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। সেখান থেকে অষ্টম উইকেট ১২৭ রান যোগ করেন নীতীশ ও ওয়াশিংটন। দলকে নিয়ে যান সাড়ি তিন শ’র দেড়গোড়ায়।
তৃতীয় দিন শেষে ১৭৬ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত আছেন আট নম্বরে নামা নীতীশ। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৯.৬৬ স্ট্রাইকরেটে এই রান করেছেন তিনি। অন্যদিকে, নীতীশের তুলনায় অনেক ধীরগতিতে ব্যাট করেছেন ওয়াশিংটন। তিনি অবশ্য অপরাজিত থাকতে পারেননি। নয়ে নামা এই ব্যাটার ১৬২ বলে ৫০ রান করে আউট হয়েছেন।
একাদশে শেষের দিকে নেমে এত বল মোকাবেলা করায় ইতিহাসের পাতায়ও ঢুকে পড়লেন নীতীশ-ওয়াশিংটন। সিরিজটির অফিসিয়াল সম্প্রচারক সংস্থার মতে, টেস্টের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘটনা যে আট ও নয়ে নামা ব্যাটার কোনো ইনিংসে কমপক্ষে দেড় শ বল মোকাবেলা করেছেন।
নীতীশ এদিন আরও একটি দারুণ কীর্তি গড়েন। শচীন টেন্ডুলকার এবং রিশাভ পন্তের পরে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন নীতীশ। কিংবদন্তি শচীন ১৯৯২ সালে ১৮ বছর ২৫৬ দিন বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরি করেছিলেন। আর ২০২১ সালে সিডনিতে অজিদের বিপক্ষে সেঞ্চুরির সময় পন্তের বয়স ছিল ২১ বছর ৯৬ দিন। অন্যদিকে, আজকের হিসেব অনুযায়ী নীতীশের বয়স ২১ বছর ২১৬ দিন।
