১৮ই জুন, ২০২৫

বিষপ্রয়োগে ১৪ বন্ধুকে হত্যা, তরুণীর মৃত্যুদণ্ড

জুয়ায় আসক্ত থাকায় বন্ধুদের গহনা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতে নির্মম আচরণের নজির গড়লেন থাইল্যান্ডের এক তরুণী সারারাত রাংসিউথাপোর্ন। বিষাক্ত সায়ানাইড দিয়ে একে একে ১৪ বন্ধুকে হত্যা করেছেন এই নারী। এতোগুলো হত্যায় অভিযুক্ত এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।

থাইল্যান্ডের গণমাধ্যমে ‘অ্যাম সায়ানাইড’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন সারারাত। গত বছর ভ্রমণে গিয়ে খাবার ও পানীয়র সঙ্গে বিষ মিশিয়ে এক ধনী বন্ধুকে হত্যা করার জন্য সারারাত রাংসিউথাপোর্নকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন ব্যাংককের একটি আদালত। সারারাতের সেই ধনী বন্ধুর মৃত্যুর পর এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু মানতে নারাজ ছিলেন তার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা। পরে ময়নাতদন্তে তার শরীরে সায়ানাইডের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

এ অবস্থায় সারারাতকে গ্রেফতার করে থাইল্যান্ডের পুলিশ এবং ২০১৫ সালের পর থেকে এমন আরও কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনায়ও সারারাতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। পাশাপাশি সৌভাগ্যজনকভাবে তার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া একজনেরও হদিস পাওয়া যায়। বড় বোনের দোকান থেকে বিষাক্ত সায়ানাইড বিষ সংগ্রহ করা করতেন সারারাত।

নিহতদের সবাই সারারাতের পরিচিত ছিলেন। খুব সম্ভবত আর্থিক কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। বিষপ্রয়োগের শিকার হয়েও এক নারী বেঁচে আছেন। তার সাক্ষ্য মামলায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সারারাত হাসছিলেন। এর আগে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। বিচারে সারারাতের স্বামী সহ তার আইনজীবী ও একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকেও বিচার এড়াতে প্রমাণ লোপাটের জন্য অভিযুক্ত করেছেন আদালত।

মন্তব্য করুন