এস এম জীবন, স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২ এর শহীদবাগ স্কুলের পেছনে রিকশার গ্যারেজ দখলকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে গ্যারেজ মালিক সানি (৩০) আহত হন। ককটেল বিস্ফোরণে তার বাম পায়ে ইনজুরি হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত সানি গণমাধ্যমকে জানান, হামলার কয়েক ঘন্টা না যেতেই সন্ত্রাসীরা আমার মোবাইলে ফোন করে আজ রাতের মধ্যেই আমি এবং আমার পরিবারের লোকজনকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আমি আমার পরিবার ও পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শহীদবাগ স্কুলের পেছনে অবস্থিত রিকশার গ্যারেজটির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি গ্যারেজটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। অভিযোগ উঠেছে, নিষিদ্ধ সংগঠন শ্রমিক লীগের স্থানীয় নেতা বোরহান উদ্দিন ও তার ভাই সেলিম ওরফে সলিম এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী মনির, কবির, সাইয়েদ, নবী, অলি, নুরুল হকসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসহ গ্যারেজে হামলা চালায়।

ঘটনার সময় হামলাকারীদের হাতে রামদা, লাঠিসোটা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র ছিল। এক পর্যায়ে নীল গেঞ্জি পরিহিত এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে তার নাম জানা যায় সেলিম ওরফে সলিম। এই ভয়াবহ দৃশ্যটি আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট ধরা পড়ে। হামলাকারীরা গ্যারেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে মালিক সানিকে মারধর করে। বাধা দিতে গেলে সানির ছোট ভাই সাকিব-কেও মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আলম বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সিসিটিভি ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।




