১১ই নভেম্বর, ২০২৫

সাব রেজিস্ট্রার আদনান নোমানের ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা দলিল বাণিজ্য

ফাইল ছবি

ক্রাইম রিপোর্টার:

মাগুরা জেলার মহাম্মদপুর সাব রেজিস্ট্রার এস এম আদনান নোমানের দপ্তর এখন পরিণত হয়েছে ঘুষ দুর্নীতি আর দলিল বাণিজ্যের অভয়ারণ্যে। এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল।

ইতোমধ্যে শালিখাতে সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় তিনি শালিখায় অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে সেখানেও সমানতালে অভিনব ঘুষ দুর্নীতির ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রেখেছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ

সাব রেজিস্ট্রার আদনান নোমান ঘুষ ছাড়া কোন দলিল স্পর্শ করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

মহম্মদপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেই তাঁর ক্লার্ক ফিরোজসহ কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারিদের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। পরবর্তীতে দলিল ও জমির শ্রেণী ভেদে ঘুষের রেট নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া আন্ডারভ্যালু দলিলে তিনি তার দাবী মত ঘুষ দিতে বাধ্য করেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগ মতে, সাব রেজিস্ট্রার এস এম আদনান নোমান প্রতি দলিলে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে তবেই দলিল রেজিষ্ট্রি করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া নামজারী ও দাগনম্বর ভুল আছে বলে ভুলভাল বুঝিয়ে তার কথিত সহকারী ফিরোজের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা গোপনে আদায় করে থাকেন।

একাধিক সূত্র জানায়, মাগুরার মহম্মদপুর ও শালিখা রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ থেকে ১ হাজার করে দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে। এসব দলিলের বড় অংশেরই শ্রেণী পরিবর্তন করে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে।

অনেক জমিতেই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করায় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সে হিসেবে বছরে কমপক্ষে প্রায় ৭২ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

ব্যক্তিগতভাবে সাব রেজিস্ট্রার বিলাসবহুল জীবনযাপন করে থাকেন। তিনি চড়েন দামি গাড়িতে, গতবছর তিনি একটি দামি গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু এক গাড়ি তিনি বেশিদিন চড়েন না। এখন তিনও BMW কিনবেন বলে শোনা যাচ্ছে।।।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আদনান নোমান বান্ডিল বান্ডিল টাকা খরচ করে, ছাত্র আন্দোলনের উপর গুন্ডা বাহিনী দিয়ে হামলা করিয়ে ছাত্রজনতার আন্দলোন নস্যাৎ করার অপচে চালায়।

 

তার সমস্ত বড় বড় অবৈধ টাকা লেনদেনের সাথে সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্টারসহ এক শ্রেণীর দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ফিরোজসহ একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে।

ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সচিব, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

তিনপর্বের এই প্রতিবেদনে আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রশ্নে আপনার বক্তব্য আজ অতিসত্বর জানাবেন বলে আশাকরি।

মন্তব্য করুন