রাজনীতি, প্রযুক্তি এবং ফ্যাশন—সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজন্ম হিসেবে পরিচিত জেন জি এবং জেন আলফার পর আগামী ২০২৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করবে নতুন প্রজন্ম জেনারেশন বেটা। সমাজবিজ্ঞানী মার্ক ম্যাকক্রিন্ডলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী এই প্রজন্মকে বলা হবে “বেটা বেবি।”
জেনারেশন বেটা এমন এক প্রজন্ম, যাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে বিনোদন পর্যন্ত এআই এবং অটোমেশনের চরম উৎকর্ষ তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে।
মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল বলেন, “জেন বেটার জন্ম হবে এমন এক যুগে, যেখানে প্রযুক্তি তাদের হাতের মুঠোয় থাকবে। স্মার্ট টেকনোলজি এবং এআই শুধু তাদের জীবনকে সহজ করবে না, বরং তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দিকেও গভীর প্রভাব ফেলবে।”
জেনারেশন বেটার জন্য প্রযুক্তির সম্ভাবনা যতই উজ্জ্বল হোক, তাদের জলবায়ু পরিবর্তন, অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং নগরায়ণের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে তারা মানিয়ে নেওয়া, সহযোগিতা এবং টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব শিখবে।
মার্ক আরও বলেন, “বেটা বেবিরা ভবিষ্যৎ গড়বে। তাই তাদের মূল্যবোধ, পছন্দ এবং চাহিদা গভীরভাবে বোঝা প্রয়োজন।”
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসারে সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ ক্রমশ কমে যাওয়ার এই সময়ে জেনারেশন বেটাকে নতুন ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম খুঁজে বের করতে হবে। সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রযুক্তির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে মানবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে তাদের দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
জেনারেশন বেটার এই নতুন যুগ ২০৩৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায় ১৬ শতাংশে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অভ্যুদয় বিশ্বের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে কী ভূমিকা রাখে, তা সময়ই বলে দেবে।