আশুলিয়া প্রতিনিধি:
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারখানাগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে তৈরি পোশাক কারখানায় প্রবেশ করে কাজে যোগ দিয়েছে শ্রমিকরা। সকাল থেকে এখনও কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় শিল্প এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সরেজমিনে আশুলিয়ার কাঠগড়া, জিরাবো, পুকুরপাড়, নরসিংহপুর ও জামগড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কারখানার সামনেই আইন-শৃঙ্খলা বানিহীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
এর আগে সকালে শান্তিপূর্ণভাবে প্রবেশের পর কাজে যোগ দিয়েছেন অধিকাংশ কারখানার শ্রমিকরা। তবে কারখানায় শিল্প কারখানায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভাংচুর, বহিরাগত হামলা, অযৌক্তিক দাবি, কর্মবিরতিসহ চলমান সহিংসতা, বে-আইনী ধর্মঘট, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২৪টি কারখানায় অনির্দিষ্টাকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ১২টি কারখানায় সাধারন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা কাজ না করে কর্মবিরতি পালন করছে বলে জানা গেছে।
নিরাপত্তার সার্থে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বেশকিছু কারখানার মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ টাঙ্গানো হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সকল শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাগণের সদয় অবগতির জন্য জানানো হয়, বর্তমানে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্টস শিল্প কারখানায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভাংচুর, বহিরাগত হামলা, অযৌক্তিক দাবি, কর্মবিরতিসহ চলমান সহিংসতা, বে-আইনী ধর্মঘট, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি একই সাথে শিল্পাঞ্চলে সার্বিক আতঙ্কজনক অবস্থার কারণে কারখানা পরিচালনা করার অনুকূল পরিবেশ না থাকায় এবং কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাগণের জান-মাল ও সার্বিক নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৩ (১) মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
জিরাবো পুকুরপাড় এলাকার রাইজিং গ্রুপের এ্যাকটিভ কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার কারখানার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, সকালে আমাদের কারখানার শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কারখানায় প্রবেশ করে কাজে যোগদান করেছে। আমরা বিজিএমইএ ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমিকদের সকল দাবি মেনে নেয়ায় কোন ধরনের অসন্তোষের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরা এসে মিছিল নিয়ে কারখানায় ভাঙ্গার চেষ্টা করে পরে বাধ্য হয়ে কারখানার ছুটি ঘোষণা করা হয় কিন্তু এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৩০% অর্ডার বন্ধ করে দিয়েছে ভায়াররা। ১২ বছর ধরে যে বায়ার আমার কাজ দিয়েছিল এই শ্রমিক অসন্তোষ এর কারণে আমার অর্ডার ক্যানসেল করে দিয়েছে এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। কারখানাসহ অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরা এসে আমাদের গেটে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে বাধ্য হয়ে শ্রমিকদেরকে ছেড়ে দিতে হয়।