অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হাইব্রিড মডেলেই হতে চলেছে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ভারত এবং পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যেই ভারতের চাওয়া অনুযায়ী ‘হাইব্রিড মডেলেই’ আইসিসির টুর্নামেন্টটি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দুই দেশের সংবাদ মাধ্যম।
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আইসিসির সভাপতি জয় শাহ ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। বৈঠক শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদটি জানিয়ে দেবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
যদিও ভারতের চাওয়া অনুযায়ী হলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল আয়োজক পাকিস্তানের শর্তও মানতে হচ্ছে আইসিসিকে।
এ বিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান কোনো দলই আইসিসির প্রতিযোগিতায় একে অপরের মাঠে খেলবে না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ খেলতে ভারত যেমন পাকিস্তানে না গিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলবে ঠিক একইভাবে ভারতে যে সব আইসিসির টুর্নামেন্ট হবে সে সব খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান।
এদিকে ২০২৬ টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ ভারতে না খেলে শ্রীলঙ্কায় খেলবে পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচসহ বাবররা বাকি ম্যাচ সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কায় খেলবে। একই শর্তানুযায়ী আগামী বছর মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচেও বিকল্প ভেন্যুতে খেলবে পাকিস্তান।
যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজিত হলেও স্বত্ব থাকবে পাকিস্তানের হাতেই। ভারত সেমিফাইনাল বা ফাইনালে উঠতে না পারলে ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে।
অন্যদিকে আরব আমিরাতে ভারতের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ তিনটি হবে। আবার ভারত যদি সেমিফাইনাল আর ফাইনালে ওঠে তবে ম্যাচ দুটি হবে আরব আমিরাতে। প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী ৮ দলের এই টুর্নামেন্টটি আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ৯ মার্চ টুর্নামেন্টের ফাইনালের মাধ্যমে আসরের পর্দা নামবে।