ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্ব প্রতিবেদন প্রকাশ করায় জাতীয় দৈনিক “খবরের আলো” পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মো: আমিরুজ্জামান (আমির) কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় আশুলিয়া ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজরা জাবীন- ইউপি সদস্য সচিব মতিউর আলম, সহ ছয় (৬) জনের বিরুদ্ধে নিকটস্থ পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন, যাহার জিডি নং-২৫৬৭ জিডির তারিখ ২৭ ই আগস্ট।
আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ঘুষ-দুর্নীতির সরকারি কর ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া সংবাদ প্রকাশ করায় আশুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সচিব মতিউল আলম নিজ সশরীরে খবরের আলোর পত্রিকার অফিসে উপস্থিত হয়ে সঙ্গে পাঁচজন সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে খবরের আলোর প্রদান কার্যালয় ডুকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, যাহা পত্রিকার অফিসে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভিডিও রেকর্ডে এই ৬ জনকে দেখা যায়। আশুলিয়া ইউনিয়নের ঘুষ- দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বলেন।
সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ করেন। আমিরুজ্জামান আমির উপস্থিত সন্ত্রাসীদের নাম পরিচয় জানতে চাইলে সাভার ও আশুলিয়া-থানা হইতে তাদের নাম জানতে বলে, আর গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যার কথা স্মরণ করতে বলে সন্ত্রাসীরা নিজেদের মুঠোফোনে অপর পাশে ফোন কলে থাকা ব্যক্তিকে কাজ হয়ে যাবে বলে তাকে চিন্তা করতে মানা করেন। ফোনের মধ্যে কথোপকথনে জানতে পারি আজরা জাবিন এর হুকুমে সাগর,ইমাম হোসেন, মিলন, মতিউল আলম, রুবেল, সাইফুল ইসলাম, এসে দৈনিক খবর আলোর পত্রিকার অফিসে আসেন ও হুমকি দেন ।
আরও বলে ধারাবাহিক সংবাদ প্রতিবেদন বন্ধ করে পূর্বের নিউজের প্রতিবাদ দেওয়ার জন্য বলে পূর্বের ন্যায় আবারো বলে অন্যথায় আগামীকালের সূর্য দেখতে পারবি না। সরকারি প্রভাবশালী মহলের দুর্নীতি নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করেন। এর পর থেকেই বিভিন্ন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ফোনে ও গোপনে বার্তা পাঠিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
প্রধান সম্পাদক জানান, “দুর্নীতির খবর প্রকাশ করার পর থেকেই নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হলেও সত্য প্রকাশের দায়িত্ব থেকে সরে যাবো না।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, একজন সম্পাদককে হুমকি দেওয়ার অর্থ পুরো গণমাধ্যমকেই ভয় দেখানো।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন,“আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের এই প্রবণতা গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি।
চলমান