১৮ই জুন, ২০২৫

ওসির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার নিয়ে যা জানা গেল

শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিনের (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মানসিক অবসাদ থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ। তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করার দাবি তাদের।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে থানা ভবনের নিজ শয়নকক্ষে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান সহকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ চিকিৎসক। ঢাকা থেকে সিআইডির ফরেনসিক টিম। কার্যক্রম শেষে মরদেহ পাঠানো হয় হাসপাতালে।

তবে কী এমন ঘটল যার জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে দেখা দিয়েছে কৌতূহল।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন আল-আমিন। তার বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলার কাচিচর এলাকায়। তার পরিবারে স্ত্রী ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছেন। তারা ঢাকায় বসবাস করতেন। ওসি আল-আমিন থানায় যোগদানের অল্প দিনেই জয় করে নেন স্থানীয়দের মন।

জাজিরা সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য মমতাজুল ইসলাম রতন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। একজন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এভাবে মারা যাবে বিষয়টি আমাদের কাছে কাম্য নয়। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। আমরা একটি সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ চৌকিদার বলেন, ওসি সাহেব অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তার এমন মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার আসল রহস্য উন্মোচনের দাবি জানাই।

ওসি আল-আমিনের বড় ভায়রা আব্দুর রব বাবুল বলেন, স্ত্রী ও দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে তিনি সুখে ছিলেন। কয়েকদিন আগে তার স্ত্রী এখানে বেড়াতে এসেছিল। আমরা খবর পেয়ে ছুটে আসি। এখানে এসে জানতে পারি তিনি ফ্রাসটেশনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। তবে আমার জানামতে তার কোনো পারিবারিক অশান্তি ছিল না। তবে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।

এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন এবং অর্থ) শেখ শরীফ উজ-জামান বলেন, তার পরিবার থেকে জানানো হয়, তিনি ২ বছর ধরে ডিপ্রেশনের ওষুধ খেতেন। তবে তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। মরদেহ সুরতহাল শেষে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন