৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কেন ভারতের মহাকুম্ভমেলায় গেলেন স্টিভ জবসের স্ত্রী?

ভারতে চলমান মহাকুম্ভ মেলায় এসে বারাণসীর কাশি বিশ্বনাথ মন্দির পরিদর্শন করেছেন অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস। মূলত আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে তিনি সেখানে গেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ১০ দিনের জন্য আসলেও তিন দিন সেখানে থেকেছেন তিনি। জানা গেছে, ত্বকে এলার্জির সমস্যার কারণে তিনি মেলা প্রাঙ্গণ ছাড়েন। গত বুধবার মেলা প্রাঙ্গণ ছেড়ে লরেন্স পাওয়েল ভুটানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। আপাতত সেখানে তিনি কিছুদিন থাকবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভ মেলায় অংশগ্রহণ করতে আসেন অ্যাপেলের সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং ধনকুবের স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন্স পাওয়েল। তিনি সেখানে নিরঞ্জন আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাশানন্দ গিরির শিবিরে আশ্রয় নেন।

মকর সংক্রান্তিতে সেখানে পুণ্যস্নান করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অসুস্থ থাকার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে তিনি তার গুরু আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাশানন্দ গিরির কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেন। লরেন্স পাওয়েলকে মহাকালী বীজ মন্ত্র দেন বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে নিরঞ্জন আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাশানন্দ গিরি বলেন যে, আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানের স্পৃহা লরেন্সকে মহাকুম্ভে নিয়ে এসেছে। এসময় তিনি বলেন, সনাতন ধর্মের মধ্যেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিহিত আছে। তিনি সেই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন এবং আত্মতৃপ্তি লাভ করেছেন। ‘কমলা’ নামে একটি নতুন নাম ধারণ করেছেন লরেন এমনটি উল্লেখ করেন তিনি।

নিরঞ্জন আখড়ার সন্ন্যাসী আরও জানান, লরেন্স খুবই সাধারণ, ভদ্র এবং তার আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান তাকে এখানে নিয়ে এসেছে। তিনি বিশ্বের ধনী এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের একজন হওয়া সত্ত্বেও তার ভিতরে অহংকার নেই। তার আচার-ব্যবহারেই সেই পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি এখানে এসেছেন আমাদের চিরন্তন এবং কালজয়ী সনাতন সংস্কৃতি ও সমস্ত চেতনার উৎসস্থল দেখতে। তিনি প্রথমবার কুম্ভে এসেছেন। এখানকার সনাতনী অভিভাবক, ঋষি এবং সাধুদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। মহাকুম্ভে আসার আগে লরেন্স পাওয়েল বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পরিদর্শন করেছেন।’

উল্লেখ্য, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অ্যাপেলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ১৯৭৪ সালে একটি চিঠিতে ভারত ভ্রমণের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি কুম্ভমেলা পরিদর্শন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। ধারণা করা হচ্ছে, স্টিভ জবসের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে লরেন্স ভারতে এসেছেন। ১৯৭৪ সালে স্টিভ জবসের লেখা সেই চিঠিটি পরবর্তীতে ৫ কোটি টাকার আরও কিছু বেশি দাম দিয়ে কিনে নেওয়া হয়েছিলো।

মন্তব্য করুন