স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন। সেই মামলায় ছয় বছর পরে দোষী সাব্যস্ত হলেন স্বামী। শুক্রবার বসিরহাট আদালতে হাজির করানো হলে আসামি জামশেদ আলি মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত। শাস্তি শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন দোষী।
আদালত সূত্রের খবর, ঘটনাটি ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিলের। বাদুড়িয়া থানার যদুরহাটি এলাকার বাসিন্দা জামশেদ তাঁর স্ত্রী তাজমিরা বিবিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। অভিযোগ, স্বামীর কুকর্মের কথা জেনে ফেলার জন্য খুন হতে হয় তাজমিরাকে।
জানা যায়, জামশেদের এক শ্যালিকার মৃত্যুর পর তাঁর মেয়েকে নিজের বাড়িতে এনেছিলেন তাজমিরা। চার বছর বয়স থেকে মেয়েটি মামার বাড়িতে ছিল। ৮ বছর বয়সে তাঁকে মাসি তাজমিরা বাড়িতে নিয়ে যান। সন্তানস্নেহে তাকে বড় করছিলেন। মেয়েটির বয়স যখন ১২, তখন তাজমিরা জানতে পারেন তার উপর শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। অভিযুক্ত আর কেউ নন, তাঁর স্বামী। নাবালিকা সব খুলে বলার পরে চমকে গিয়েছিলেন তাজমিরা।
দীর্ঘ দিন ধরে শ্যালিকার কন্যাকে যৌন হেনস্থা করে আসছিলেন জামশেদ। সেই কথা স্ত্রী জেনে ফেলার পর অশান্তি শুরু হয় পরিবারে। জামশেদকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন স্ত্রী। তখনই স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করেন জামশেদ।
ঘটনার পর দিনই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে দুটো মামলা রুজু হয়। একটি নাবালিকাকে ধর্ষণ, অন্যটি স্ত্রীকে খুনের। এত দিন বসিরহাট আদালতে দু’টি মামলার বিচার চলছিল। পকসো মামলাটি এখনও চলছে। স্ত্রীকে খুনের মামলায় শুক্রবার আমজেদকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শনিবার তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় বসিরহাট মহাকুমা আদালত ।