পটুয়াখালীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মহিউদ্দিন ঈসা (২০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রযুক্তির সহায়তা ও সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, অপরাধীদের একজন সাদা জুতা পরিহিত ছিল। পরে সেই সূত্র ধরেই খুনিদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনোয়ার জাহিদ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের সেলিম হাওলাদারের ছেলে মো. তুহিন হাওলাদার (২৪) ও আমতলী থানার মহিষকাটা এলাকার কালিকাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ (১৪)।
নিহত মহিউদ্দিন ঈসা ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের জাফর ফকিরের ছেলে। তিনি ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা চালাতেন।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার জাহিদ জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্দেহভাজন হিসেবে নাহিদকে আটক করা হয়। এ সময় নাহিদ পুলিশের কাছে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও আদালতেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে তুহিনকে ঢাকার কাফরুল থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তুহিনও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছে। দুজনকেই কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এসপি আরও জানান, শিশু নাহিদ কিছুদিন আগে তার নানা বাড়ি সদর উপজেলা ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুরে বেড়াতে আসেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ও তুহিন মিলে নিহত ঈসার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ৪ ফেব্রুয়ারি টিকটক করার কথা বলে ঈসার অটোরিকশা ভাড়া করে তারা। ঘোরাঘুরির একপর্যায় অটোরিকশা নিয়ে দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে পৌঁছান তারা।
সেখানে পৌঁছে কৌশলে ঈসার সঙ্গে তর্কে জড়ান ওই দুজন। একপর্যায়ে ওই এলাকার একটি তরমুজ খেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইসাকে খুন করে নাহিদ ও তুহিন। ঘটনার পরদিন ওই খেত থেকে ঈসার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।