বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর কথায় আশ্বস্ত হয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন সামনে থেকে হাসপাতালে ফিরে গেছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে রমনা থানা ওসি গোলাম ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টা ভবনের সামনে অবস্থান থাকা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের বোঝান। দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। তারা আশ্বস্ত হয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা বাসভবনের সামনের সড়ক সম্পূর্ণ ফাঁকা।
তার আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিন্টোরোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। সেখানে তারা বিক্ষোভ করেন।
অবস্থানের পর পরই সেখানে উপস্থিত হন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন। এ সময় তার কাছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা সাতটি দাবি জানান। হাসনাত তাদের মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন। তিনি আহতদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এ সময় আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসন ব্যাহত হওয়ার জন্য সরকারি আমলাদের ওপর দোষ দেন হাসানাত। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আমলারা অসহযোগিতা করছে। আমলারা যদি মনে করেন, হাসিনা আবার ফিরে আসবেন, তাহলে তারা ভুল ভাবছেন।
আহত বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যে চিকিৎসা পান না এটা সত্য। এর জন্য দায়ী সরকারের লোকজন। সরকার ভালো মতো তদারকি করতে পারে নাই। অবিলম্বে আহতদের সুচিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে করবে। আপনাদের এ দাবি আমি সরকারের কাছে জানাচ্ছি।
চলতি সপ্তাহের মধ্যে আহতদের সুচিকিৎসাসহ পুনর্বাসনের বিষয়ে সচিবালয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন এ ছাত্র-আন্দোলনের এ সমন্বয়ক।
এক পর্যায়ে হাসনাতের কথার আশ্বস্ত হয়ে আহতরা প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন সামনে থেকে চলে যায়।