২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

পদোন্নতির দাবিতে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় শ্রমিক কর্মচারীদের মানববন্ধন

রেলওয়ে যান্ত্রিক বিভাগের শ্রমিক কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছে। দ্রুত পদোন্নতি প্রদান ও শূণ্য পদে নিয়োগের দাবীতে সারাদেশের মত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাতেও এই কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় কারখানার প্রধান গেটের সামনে আয়োজন করা হয়।
রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগের শ্রমিক কর্মচারী সমন্বয় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য বলেন, মো. একরাম উদ্দিন (পি চেজার), মো. মমিনুল ইসলাম (ফিটার গ্রেড-২), মো. ইমরুল সিকদার (ফিটার গ্রেড-১), মো. খায়রুল বাশার (এসএস ফিটার), আখতারুল ইসলাম (ফিটার গ্রেড-২), পারভেজ রানা (ক্রেন ড্রাইভার-২) ও হামিদুর রহমান (বিএস গ্রেড-২)। মানববন্ধনে কারখানার বিভিন্ন সপের (উপকারখানা) শতাধিক পদোন্নতি বঞ্চিত শ্রমিক কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, নিয়োগবিধি অনুযায়ী ৩ বছর পর পর পদোন্নতি হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ১০ বছরেও রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন পদের কর্মচারীদের পদোন্নতি দেয়া হয়নি। অথচ শত শত পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদে পদায়িত না করেই বিভিন্ন গ্রেডের কর্মচারীদের দিয়ে উচ্চপদের কাজ করিয়ে নেয়া হচ্ছে।
কিন্তু পদ খালি না থাকলেও একই বিধি অনুয়ায়ী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এর ফলে একই দিনে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা ৩-৪ বার পদোন্নতি পাইলেও একজন কর্মচারী একবারও পায়নি। এতে শত শত ফিটার পদধারী শ্রমিক কর্মচারীরা সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন।
সম্প্রতি কিছু পদে পদোন্নতির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ একইসাথে যোগদানকারী সবাই এই পদোন্নতি পাচ্ছেন না। অর্থাৎ কেউ পাবেন, কেউ পাবেন না। আর একেবারে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে ব্লাক স্মিথি, ক্রেন ড্রাইভার, পেটার্ন মেকার, উড মেকার, টিন স্মিথি, ফার্নিস ম্যান ও কোর মেকার পদে কর্মরতদের।
বক্তারা এসব পদসহ সকল পদে শতভাগ পদোন্নতি দাবি করেন। বিশেষ করে যাদের পদোন্নতি প্রাপ্তির মেয়াদ দীর্ঘ দিন আগেই পেরিয়ে গেছে তাদের আগে দিতে হবে। একই সাথে দাবি করা হয় যে, খালাসি পদের নাম পরিবর্তন করাসহ ভাতা প্রদানে যে বৈষম্য আছে তা দূর করতে হবে। সেইসাথে ১৯৮৫ ও ২০২০ সালের আত্মঘাতী নিয়োগবিধি বাতিল করতে হবে।
এসব দাবিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) এর মাধ্যমে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপিও দেয়া হয়েছে। মানববন্ধন শেষে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে দাবি আদায়ের জন্য নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে পহেলা জানুয়ারী থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করা হবে। ১ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা, ২ মার্চ অর্ধ দিবস অর্থাৎ সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে সাড়ে ১১ টা এবং ৩ মার্চ পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি করা হবে।
খবরের আলো/শাহজাহান আলী মনন

মন্তব্য করুন