পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক বকেয়ার অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী দিলরুবা হোসেন দোয়েল। সম্প্রতি এক টেলিভিশনে এসে এ অভিযোগ করেন তিনি।
২০২১ সালে মুক্তি পায় ‘চন্দ্রাবতী কথা’নামের একটি সিনেমা। ছবিটি সরকারি অনুদান পায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে। ওই সিনেমার পারিশ্রমিক এখনো বুঝে পাননি দোয়েল। তিনি বলেন, ‘সরকারি অনুদানের চন্দ্রাবতী কথা সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে সিনেমাটির সহপ্রযোজনায় যুক্ত হয়েছিল বেঙ্গল ক্রিয়েশনস। এটার ডিজিটাল রাইট কিনেছে চ্যানেল আই। সিনেমাটি মুক্তি দিতে সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ বছর। মুক্তির তিন বছর হয়ে গেলেও এ সিনেমার কলাকুশলী, আর্টের লোক, কস্টিউমের লোক, প্রোডাকশনের লোক টাকা পায় না কেন? পরিচালকের তো সমস্যা হয়নি। এ বছর তিনি আরো একটি সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন।’
এতদিন পর অভিযোগ আনার কারণ ব্যাখ্যা করে দোয়েল বলেন, ‘ওই সময়ে এই কথাগুলো চাইলেও বলা যায়নি। আর কাকে বলতাম? অভিনয়শিল্পী সংঘ? আমি তো কোনো সংগঠনের সদস্যই না। অভিনয়শিল্পী সংঘ আসলে কী করছে? কয়টা শিল্পীর ব্যক্তিগত সমস্যায় এগিয়ে এসেছে? একজন শিল্পী মরে গেলে তারা হয়তো মিলাদ দিচ্ছেন। কিন্তু একটা শিল্পী বেঁচে থাকা অবস্থায় কতবার মারা যায়—এটা কি আমরা কখনো ভেবেছি? চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিরও একই অবস্থা। আমি যখন অপু বিশ্বাসের ‘লাল শাড়ি’ সিনেমার শুটিং করতে যাই, সে সময় আমাকে বলা হয় শিল্পী সমিতির সদস্য হতে হবে। আমি ওই সংগঠনের মেম্বার কেন হব? এফডিসির কোনো লোক আমাদের কাজে ডেকেছে? তারা আগেই ধরে নিয়েছে আমরা মিডিয়াপাড়ার লোক, তাদেরটা সিনেমাপাড়া। তাহলে তাদের সংগঠনের সদস্য কেন হব? লিয়াজোঁ করার জন্য?’
এ সময় বিটিভির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন দোয়েল। বলেন, ‘ছয়বার আবেদন করেও বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হতে পারিনি। এর মধ্যে একবার তারা তালিকাভুক্ত করতে চেয়েছে, সেটা থার্ড গ্রেডের শিল্পী হিসেবে। আমি বললাম, কেন? আপনারা আমার অডিশন নেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেন আমি কোন ক্যাটাগরির। কিন্তু তারা বলেছে, এখানে এভাবেই আসতে হবে। তাহলে কি প্রতিভার কোনো দাম নেই?’