উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার কারণে এক্সেভেটর দিয়ে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলার কার্যক্রম শুরু করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশন অধিদপ্তর।
শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোট পরিচালনার মাধ্যমে ২০১৩ সালের ইট প্রস্তূত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০১৯) লঙ্ঘনের অভিযোগে ৫ টি ইটভাটা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলার কার্যক্রম শুরু করা। ইটভাটা গুলো হচ্ছে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের এম এস এইচ ব্রিকস, একই ইউনিয়নের ডাব্লিউ এএইচ ব্রিকস ও কেবি ব্রিকস, বড়ভিটা ইউনিয়নের
এম এবি ব্রিকস ও শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের জে এম এসব্রিকস।
জানা যায়, উল্লেখিত পাঁচটি ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম নীতি মেনে ইটভাটা পরিচালনার করার বিধান থাকলেও এ সকল ভাটা মালিক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে,ফলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ইটভাটা গুলি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে।
অভিযান পরিচালনায় মোবাইল কোর্টে বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন, জেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদ। এসময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম সহ ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও ফুলবাড়ী থানা পুলিশের সদস্য আনসার সদস্য ও প্রসাশনের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী গণ উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম জানান, এর আগে ইটভাটা গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা দায় সহ সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে চুপিচুপি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তাই আজকে জেলা প্রশাসক ও কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে অবৈধ ইটভাটা গুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছি। কিন্তূ বিকেল চারটা পর্যন্ত ভেঙে ফেলার কার্যক্রম শেষ করতে পারিনি, কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি আরও জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় ছয়টি ইটভাটার মধ্যে মাত্র একটি ইটভাটার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে আর বাকি পাঁচটির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভেঙে ফেলার অভিযান শুরু করেছি। এ অভিযান চলমান থাকবে।