মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় গেল সপ্তাহ পার করেছে বৈশ্বিক শেয়ারবাজার। এশিয়ার মধ্যে ঊর্ধ্বমূখী ধারায় ছিল ভারত, জাপান, হংকংয়ের পুঁজিবাজার। যদিও পতন দেখেছে চীনের শেয়ারবাজার। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে সপ্তাহব্যাপী ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আর সপ্তাহ শেষে বড় পতন দেখেছে বাংলাদেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই। পাঁচ কর্মদিবসে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।
তথ্য মতে, গেল সপ্তাহে বড় উত্থান দেখেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের শেয়ারবাজার। দেশটির বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক
‘বিএসই সেনসেক্স’ গত পাঁচ দিনে বেড়েছে ৫৭৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭১ শতাংশ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনশেষে এ সূচক অবস্থান নেয় ৮২ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে। দেশটির আরেক শেয়ারবাজার ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ-এনএসইর ‘নিফটি ৫০’ সূচকও একই সময়ে ১০৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪২ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী ছিল জাপানের পুঁজিবাজারও। দেশটির শেয়ার সূচক ‘নিক্কেই-২২৫’ পাঁচ কর্মদিবসে ১৩৭ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান নিয়েছে ২৪ হাজার ৭৬৮ পয়েন্টে। আর হংকংয়ের ‘হ্যাংসেং’ সূচক একই সময়ে বেড়েছে ২৩৮ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট।
এশিয়ার মধ্যে ব্যতিক্রম দেখা গেছে চীনের শেয়ারবাজার। সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের ‘সিএসআই ৩০০’ সূচক পাঁচ দিনে হারিয়েছে ৩৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। আরেক সূচক ‘এসএসই কম্পোজিট’ কমেছে ১০ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট।
বিদায়ী সপ্তাহে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে। নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের ‘নাসডাক কম্পোজিট’ সূচক বেড়েছে ১৫৮ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট। তবে নিম্নমূখী ছিল ‘ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল’ ও ‘এস অ্যান্ড পি’।
এদিকে গেল সপ্তাহে বড় পতন দেখেছে দেশের শেয়ারবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ এক সপ্তাহে ৯১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এছাড়া শরীয়াহ সূচক ২৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানিগুলোর ‘ডিএস ৩০’ সূচক কমেছে ৩০ দশমিক ০২ পয়েন্ট। সপ্তাহজুড়ে দর হারিয়েছে ২৯২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে লেনেদেনের পরিমাণও কমেছে। পাঁচ কর্মদিবসে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬১০ কোটি টাকা কম। সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধনও কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সপ্তাহ শেষে যা নেমে আসে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা।