শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: অবশেষে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কুখ্যাত অপরাধী আব্দুল মালেক (৩২) গ্রেপ্তার হয়েছে। র্যাব-১৩ এর সিপিসি-২ নীলফামারী ক্যাম্পের চৌকস অভিযানিক দল শনিবার (১৭ মে) গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
সে ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ সোনাখুলী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। বিষয়টি রবিবার (১৮ মে) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন র্যাব-১৩ এর সিপিসি-২ নীলফামারী ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণসহ এমন কোন কাজ নেই যা সে করে না। তার দাপট ও ভয়ে এলাকাবাসী মুখ ফুটে কিছু বলতে পারতো না। সম্প্রতি ডিমলা উপজেলায় মোটর সাইকেল, মোবাইল, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যায়।
এছাড়া গত মার্চ মাসে ডিমলা থানায় চাঞ্চল্যকর একটি দস্যুতার ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলায় আব্দুল মালেক প্রধান আসামি। র্যাব চাঞ্চল্যকর হত্যা, দস্যুতা, অপহরণ, ধর্ষণ ও মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই মামলার সূত্র ধরে মাঠে নামে র্যাব।
ওই মামলা সূত্রে জানা যায় যে, গত ১৮ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিমলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝুনাগাছ চাপানী দুদিয়াপাড়া গ্রামের মমতাজের ডাঙ্গা নামক কালভার্টের উপরে অজ্ঞাতনামা ৪ জন দুষ্কৃতিকারী দেশি অস্ত্র হাতে ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি দেখিয়ে নগদ দেড় লাখ টাকা, ১টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং ১টি হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস ১০০ সিসি মোটর সাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরের দিন ভিকটিম ডিমলা থানায় বাদী হয়ে দস্যুতার মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে তা র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্পের দৃষ্টিগোচর হয়। এর প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে জেলার জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহী জানান, র্যাব ধৃত আসামিকে রাতেই ডিমলা থানায় হস্তান্তর করেছে। রোববার দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।