বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের পূর্ণাঙ্গ আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন জননেত্রী লাইলি বেগম। তার এই পদ প্রাপ্তিতে দলের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে।
লাইলি বেগম, যিনি দীর্ঘ ৪৭ বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, দলের প্রতিটি ক্রান্তিকালে একজন নির্ভীক সৈনিক হিসেবে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ, আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এবং তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের দিকনির্দেশনাকে পাথেয় করে তিনি সবসময় অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
বিএনপির দুর্দিনে লাইলি বেগম অসংখ্য মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন। তবুও তিনি এক চুলও পিছপা হননি। বরং একজন মায়ের মমতা আর বড় বোনের স্নেহে দলের নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সুখ-দুঃখে, আন্দোলন-সংগ্রামে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অদম্য সাহস দলের কর্মীদের অনুপ্রাণিত করেছে বারবার।
লাইলি বেগম শুধুমাত্র দলের কাজেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি সবসময় গরিব, অসহায় ও মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়েছেন। দলের অসহায় কর্মীদের পাশে তিনি সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা তাকে একজন সত্যিকারের জননেত্রীতে পরিণত করেছে।
তার এই পদ প্রাপ্তি প্রমাণ করে যে, বিএনপি এখনও ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে। লাইলি বেগমের মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ নেত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসা দলের সাংগঠনিক শক্তিকে আরও মজবুত করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, আগামী ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই বিশেষ দিনে লাইলি বেগমের এই পদপ্রাপ্তি দলের নেতাকর্মীদের জন্য এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।