২০শে জুন, ২০২৫

শেষ ওভারে ২৭ রান নিয়ে তামিমের ৯১ রানকে ব্যর্থ করলেন সালমান

জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ৯১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন চট্টগ্রামের তামিম ইকবাল। তাতে দলও পায় ১৮২ রানের বড় সংগ্রহ। তবে এতেও শেষরক্ষা হয়নি চট্টগ্রামের। শেষ ওভারে ২৭ রান তুলে বরিশালকে ৫ উইকেটে জিতিয়ে নায়ক সালমান হোসেন।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে বরিশালের দরকার ছিল ২৫ রান। আগের তিন ওভারে মাত্র ১৯ রান দেওয়ায় বোলিংয়ে ইরফান হোসেনের ওপর ভরসা রাখেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক। স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা সালমান প্রথম বলে রান নিতে না পারলেও পরের চার বলে তার ব্যাট থেকে এলো তিনটি ছক্কা ও একটি চার। এর মধ্যে আবার একটি ‘নো বল’ দিয়ে বসেন ইরফান। শেষ ২ বলে প্রয়োজন পড়ে ২ রান। তবে ফ্রি হিট বলে রান করতে পারেননি সালমান। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের নায়ক বনে যান তিনি।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান। ২ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন এই ব্যাটার। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন অবশ্য ইফতেখার আহমেদ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মইন খান।

এর আগে, তামিমের ৯১ রানের ওপর ভর করেই ১৮২ রানের বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এনসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে আজ টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় চট্টগ্রাম। উদ্বোধনী জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৩৮ রান যোগ করেন তামিম। ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হন জয়। তামিম এদিন তার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩৭ বলে। এরপর ৪১ রান করতে তিনি খরচ করেন মোটে ১৪ বল।

সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ব্যর্থ হলেও তামিমের ব্যাটেই ভরসা করার মতো রান পেয়েছে চট্টগ্রাম। ১৬৮.৫২ স্ট্রাইক রেটে খেলা তামিম আজ ৭টি চারের পাশাপাশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৬টি। চট্টগ্রামের হয়ে জয়ের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১ (২৩ বলে) রান করেছেন এমডি শিকদার। ৮ বলে ১৩ রান করেছেন মুমিনুল হক। তাতে ৭ উইকেট হারানো চট্টগ্রাম থামে ১৮২ রানে।

বরিশালের সবচেয়ে সফল বোলার মেহেদী হাসান। ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় তিনি শিকার করেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, তানভির ইসলাম ও মইনুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন