শাহজাহান আলী মনন, সৈফদপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার একটি স্কুল থেকে শিক্ষার্থীকে দেয়া প্রশংসা পত্রে একাধিক ভুল মিলেছে। এনিয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবক কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা আমলে নেয়নি বিষয়টি। ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আগে থেকে তৈরী টাইপকৃত ফরমে শুধু শিক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম, রোল ও রেজিষ্ট্রেশন নং, শিক্ষা বিভাগের নাম এবং ঠিকানা হাতে লেখার ক্ষেত্রেই এমন গুরুত্বর ভুলের প্রেক্ষিতে
সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীর শিক্ষাগত মান নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পাশ করেছে। আমিও এই প্রতিষ্ঠানেরই ছাত্র ছিলাম। আজ প্রয়োজন হওয়ায় ছেলের প্রশংসা পত্র নিতে যাই স্কুলে। অফিস সহকারী ৫শ’ টাকা ফি প্রদানের বিনিময়ে টাইপকৃত ফরমে নাম, ঠিকানা, রোল, রেজিষ্ট্রেশন নং, বিভাগ হাতে লিখে প্রশংসা পত্রটি দেন। যা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিল ও স্বাক্ষর করে দেন।
কিন্তু বাড়ি আসার পর দেখতে পাই ইংরেজীতে লেখা প্রশংসা পত্রটিতে হাতে লেখা বানানগুলোর মধ্যে প্রায় ৫ট্ইি ভুল এবং অসংখ্য কাটাকাটি। এর মধ্যে শিক্ষা বিভাগের হিউম্যানিটিস (Humanities) বানানটি সম্পূর্ণরুপে ভুল। এছাড়া ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে কামারপুকুর (Kamarpukur) এর স্থলে লিখেছে কামারপাপুক, নীলফামারী কে লিখেছে নীলফামালী (Nilphamari) , আমার ছেলের নামের ও স্ত্রীর নামের প্রথম অক্ষর ছোট হাতের লেখাসহ ছোট ও বড় হাতের অক্ষরের মিশেল দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি জানার পর সংবাদকর্মীরা বেলা ৩ টায় স্কুলে গেলে অফিস সহকারী ও প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায় যে, তারা উপজেলা পরিষদে আছেন। এমতাবস্থায় সেখানে গেলে প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমানের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়।
এসময় তিনি বলেন, মূলত: আমি ব্যস্ত ছিলাম। অফিস সহকারী মো. মোস্তাকিন লিখেছে। সেখানে যে এত ভুল আছে তা বুঝতে পারিনি। তবে জানার পর শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবককে এসে নতুন করে প্রশংসা পত্র নিয়ে যেতে বলেছি। কিন্তু তিনি না এসে এনিয়ে অহেতুক বারাবারি করছেন। আর প্রশংসা পত্র বাবদ ৫শ’ টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী দীর্ঘদিন থেকেই এই টাকা নেয়া হয়।
এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রশংসাপত্র বাবদ ৫শ’ টাকা নেয়ার বিষয়টি যদি রেজুলেশন মোতাবেক হয় তাহলে সে ব্যাপারে কোন কথা নেই। তবে যদি বেশি নেয়া হয়ে থাকে তাহলে বিধিমত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর প্রশংসাপত্র লেখার ক্ষেত্রে ভুলের বিষয়টি যাচাই করে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।