৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

১৭০০ কি.মি. পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল ইরান

এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল ইরান। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘এতেমাদ’,। ফার্সি ভাষায় যার অর্থ ‘বিশ্বাস’।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী তেহরানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এটি উন্মোচন করেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ক্ষেপণাস্ত্রটির ছবি সম্প্রচার করেছে।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা ‘সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ এটি, যার সর্বোচ্চ পাল্লা এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার বলে জানানো হয়েছে।

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে। এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইরানের অস্ত্রভাণ্ডারের অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র তাদের চিরশত্রু ইসরায়েলে পৌঁছতে সক্ষম। গত বছর গাজা উপত্যকার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর ইরান সে দেশে দুই দফা হামলা চালিয়েছে।

এই ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন অনুষ্ঠান ইরানের জাতীয় মহাকাশ দিবসে অনুষ্ঠিত হলো। এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ইরানের ভূখণ্ডে আক্রমণের সাহস যেন কোনো দেশ না দেখায়, তা নিশ্চিত করতেই প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও মহাকাশ প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে তেহরান একাধিক শক্তি প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বড় ধরনের সামরিক মহড়া ও ভূগর্ভস্থ সামরিক ঘাঁটির প্রকাশ। একই সঙ্গে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ফিরে আসার ইঙ্গিতও দিয়েছে, যা কয়েক দশক ধরে উত্তেজনার বিষয় হয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপের’ কৌশল অনুসরণ করেছিলেন।

ইরান একসময় তার সামরিক সরঞ্জামের বড় অংশ তখনকার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে সংগ্রহ করত। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ওয়াশিংটন সম্পর্ক ছিন্ন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় নিজস্ব অস্ত্র উৎপাদন করতে বাধ্য হয়েছে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়ার পর থেকে ইরান নিজস্ব অস্ত্র উৎপাদনে মনোযোগ দিয়েছে। বর্তমানে দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি শক্তিশালী অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে, যেখানে রয়েছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ড্রোন।

মন্তব্য করুন