৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

দেনা আদায়ে সরকারকে চাপ বেসরকারি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের, লোড শেডিং এর শঙ্কা

দেশে বিদ্যুতের বর্তমান চাহিদা প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট। শীত কমে গেলে মার্চ থেকে বাড়বে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার। ধারনা করা হচ্ছে এ বছর চাহিদা দাড়াবে ১৮ হাজার মেগাওয়াটে। আর তাতেই তৈরি হয়েছে লোড শেডিং এর শঙ্কা। এর প্রভাব পড়তে পারে সেচ ব্যবস্থাপনাতেও।

এ অবস্থায় দেশীয় বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বকেয়া পড়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধ না হলে কেন্দ্র চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বেসরকারি মালিকদের সংগঠন। বিআইপিপিএ’র সভাপতি, ডেভিড হাসানাত জানান, গত সরকারের সময়ও প্রায় ৬ মাসের বকেয়া ছিলো। তখন তারা সরব হননি কারণ ডলার আর টাকার যে লস তা তখন হয়নি।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ফার্নেস তেলে ইউনিট প্রতি ২০ টাকার বেশি আর গ্যাস ও কয়লায় খরচ ৮ টাকার কম। বেসরকারি এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো মুলত ফার্নেস তেল নির্ভর। তাই গ্যাস-কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকেই। তাতে বরং সরকারের ব্যয় কমবে অন্তত এক তৃতীয়াংশ। জ্বালানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড ইজাজ হোসেন তেল ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করার তাগিদ জানান।

পিডিবি বলছে, বেসরকারি বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি গ্যাস ও কয়লার ব্যবহার এবার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
পিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, তাদের বকেয়া পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হচ্ছে। সামনে কয়লা ও গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।

বিদ্যুৎ উৎপাদন এখন অনেকটাই বেসরকারী খাত নির্ভর। অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার অবলিলায় পছন্দসই ব্যক্তিদের উৎপাদন কেন্দ্রের অনুমতি দিয়েছে। গত বছর বিআইডিএস এর এক গবেষণায় বলা হয়, এসব কেন্দ্রের কারণে বছরে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার বা ১১ হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হয়।

ক্যাবের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. শামসুল আলম জানান, আগের সরকারের ধারাবাহিকতায় বেসরকারি কোম্পানিকে সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। বেসরকারি খাতও তাদের পাওনা পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

দেশে বিদ্যুতের স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট। অথচ ১৬ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদা মেটাতে হিমশিম অবস্থা বিদ্যুৎ বিভাগের।

মন্তব্য করুন