কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভায় সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক পিলার রেখেই ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক সংস্কার হলেও যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে আছে জনগুরুত্বপূর্ণ দেবিদ্বার উপজেলার থানা গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে দুলালপুর জিসি ভায়া আব্দুল্লাহপুর সড়কের পুরাতন বাজার অংশের সড়ক।
এলজিইডি ও বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠি চালাচালিতে আটকে পাঁচটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়কে আরসিসি ও কার্পেটিং ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে নতুন করে দুর্ভোগ পোহাতে হবে হাজার হাজার পথচারীকে। এ কারণে সড়কটি সরু হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে দেবিদ্বার জিসি-দুলালপুর জিসি ভায়া আব্দুল্লাহপুর সড়কের (দেবিদ্বার অংশ) প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কের আরসিসি ও কার্পেটিং কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা হয় চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি। এটি শেষ করার কথা রয়েছে ২০২৫ সালের ১৬ জুলাইয়ে। কাজের একপর্যায়ে এসে দেবিদ্বার পুরাতন বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১৮ ফুটের সড়কের প্রায় ৫-৬ ফুট মাঝখানে বৈদ্যুতিক পাঁচটি খুঁটি রেখেই ঢালাইয়ের কাজ শেষ করছেন শ্রমিকেরা। গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাজারের ব্যবসায়ীরাও।
পুরাতন বাজার এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক পাঁচটি খুঁটি রেখে ঢালাই কাজ চলছে। এতে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। ১৮ ফুটের সড়ক হয়ে তো লাভ হলো না। এছাড়া যেকোনো মুহূর্তে এটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণও হতে পারে। সড়ক থেকে দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
দেবিদ্বার জোনাল অফিস পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. রেজাউল করিম খান বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনো সড়কের জন্য দিয়েছি তা এখন বলতে পারছি না। তবে এখনও খুঁটি সরানোর কোনো ফি পরিশোধ করা হয়নি, ফি পরিশোধ হলে কাজ শুরু করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘আমি মাত্রই কুমিল্লায় যোগদান করেছি। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীর কাছ থেকে জানতে হবে।’