খবরের আলো :
দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : দোহারে বসতবাড়িরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহঃবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাটাখালী গ্রামের মোঃ আলম হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এই অগ্নিকান্ডটি পরিকল্পিত ভাবে হয়েছে বলে জানায় পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিক মোঃ আলম হোসেন।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক আলম হোসেনের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, আমার বাড়ির পিছনে আমার ভাগ্নিজামাই শেখ হেলালের বাড়ির সবাই বেড়াতে যাওয়ার কারনে আমরা সেই বাড়িতে রাতে রাত্রিযাপন করতে যাই। রাত ৪ টার সময় হঠাৎ করে আমাদের প্রতিবেশী মোঃ ফরিদ আমার ঘরে আগুনের লাভা দেখতে পেয়ে আশেপাশের ডাকাডাকি করে। পরে সবাই এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা চালায়। প্রায় ১ঘন্টা চেষ্টা চালানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। এতে আমার ঘড়ের আসবাবপত্র সহ মূল্যবান কাগজপত্র ও আমার মেয়ের শিক্ষগত যোগ্যতার সকল সনদপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘড়ে আমার ৩ ভরি স্বর্নালঙ্কার ও নগন ১৫ হাজার টাকা ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী ফরিদ হোসেন জানায়, রাত ৪ টার সময় আমি ঘুম থেকে উঠে সৌচাগারে যাবার জন্য ঘড় থেকে বের হই। এমতাবস্থায় দেখি আমার প্রতিবেশী আলমের ঘড়ে আগুন লেগেছে। পরে ডাকাডাকি করে আশেপাশের সবাইকে ডাকাডাকি করলে সবাই ঘড় থেকে বের হয়ে ছুটে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা চালায়। এ সময় আমরা দেখতে পাই ঘড়ের পশ্চিম দিকের দরজাটি খোলা। আগুন নেভানোর জন্য ঘড়ের ভেতরে গেলে দেখতে পাই ঘড়ের আলমারি খোলা রয়েছে আর সব কাপড়-চোপড় নিচে পরে আগুনে জ্বলছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক আলম হোসেন জানায়, পরিকল্পিত ভাবে এ অগ্নিকান্ড করা হয়েছে। ভোর ৫ টায় আগুন নেভানোর পরে সকাল ৮ টার সময় আমার ঘড়ের একটি ব্রিফকেস পাশের খালের পাড়ে কাদা মাখানো অবস্থায় পাওয়া যায়। ঐ ব্রিফকেসে আমার মেয়ের নাম লেখা ছিলো।এ বিষয়ে আমাদের কাটাখালী গ্রামের মুন্সীকান্দার শহিদুলকেই সন্দেহ করছি। কারন শহিদুল এলাকার প্রতিটি বাড়িতে চুরি করে। সে কোনো কাজকর্ম করে না। চুর-ছেচ্চোরি করে তার দিন চলে। বেশ কয়েকবার রাতে আমার বাড়ির আশেপাশে তাকে ঘুড়তে দেখা যায়। এ বিষয়ে দোহার থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে সংবাদ পাওয়া মাত্র উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা খাতুন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলীনূর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সান্ত্বনা দেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালমা খাতুন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফোজা আক্তার রিবা স্যার ঘটনাটির সংবাদ পান। তিনি নির্বাচনী সভায় ব্যাস্ত থাকায় আমায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পাঠান। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাদের এলাকার শহিদুল নামে এক ব্যাক্তিকে সবাই সন্দেহ করছে যে সে চুরি করে ঘড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে তাদের দোহার থানায় একটি অভিযোগ করতে বলেছি। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্যারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সরকারি ভাবে অনুদানের ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য চেষ্টা করা হবে।
দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা ও সন্দেহভাজনের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।