শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
মোঃ জসীম উদ্দীন চৌধুরীঃ গাজীপুর-২ আসন থেকে বাববার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো জাহিদ আহসান রাসেল একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয় থেকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথের ফোন পেয়েছেন। দীর্ঘ ২২ বছর পর মর্যাদাপূর্ণ গাজীপুর সদরের এ আসনে থেকে তিনি প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হলেন। রবিবার বেলা দুইটার দিকে তাঁকে ফোন করে শপথের আমন্ত্রণ জানানোর খবর জানাজানি হলে তাঁর নির্বাচনী এলাকা গাজীপুর শহর ও টঙ্গীতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ তাঁর কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক -কর্মচারীবৃন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে। বহু পত্রিকা ও মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ জড়ো হন। বিভিন্ন নেতা কর্মী ও সাধারন মানুষ একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ প্রকাশ করেতে থাকেন। পাড়া-মহল্লায় শুরু হয় মিষ্টি খাওয়া ও বিতরণের ধুম। নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানাতে ফুল ও তোড়া নিয়ে ভিড় জমায় রাসেলের নিজ বাড়ী ও টঙ্গীর বাসায়। এ প্রসঙ্গে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি দৈনিক খবরের আলোকে জানান, রবিবার দুপুরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আগামীকাল সোমবার শপথ নেওয়ার জন্য মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয় থেকে ফোন পেয়েছি।সে মোতাবেক গতকাল শপথ নেওয়ার পরপরই নিজ এলাকার উদ্যেশে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে নিজ প্রামের বাড়ী গিয়ে প্রথমে বাবার মাজার জিয়ারত , মিলাদ ও দোয়া শেষে উপস্থিত হাজার হাজার নেতা কর্মীর নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন- আপনেরা আমাকে নির্বাচিত করে যে ভালবাসার প্রমান দিয়েছেন আমি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ভুলতে পারব না।যতদিন বেচে থাকব আপনাদের সেবা করে যাবার চেষ্টা করে যাব।কান্না বিজোড়িত কন্ঠে রাসেল বলেন -আমার বাবারও খুর সর্প্ন ছিল গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে চলার জন্য। আজ তিনি বেচে থাকলে হয়ত খুব খুশি হতেন।বেচে থাকলে তিনিও হয়ত আজ বড় ধরনের মন্ত্রী হতেন।আমি চেষ্টা করবো আমার বাবার ইচ্ছে গুলো পূরণ করার জন্য। আপনেরা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। আমাকে মন্ত্রী করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কাছেও। কারণ বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে তারাই আমাকে সংসদে পাঠিয়েছেন। রাসেলের পিতা বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার সংসদ সদস্য থাকাকালে ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে দিনদুপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। পরে উপ-নির্বাচনে রাসেল বাবার আসনে নির্বাচিত হন। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ¦ী বিএনপির প্রার্থীকে ৩ লাখ ১১ হাজার ১০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। টানা ৪ বার সংসদ সদস্য এবং বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার পর রাসেলকে মন্ত্রী পরিষদে অর্ন্তভূক্তি হচ্ছেন এমন খবর চাউর চিল এলাকায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করায় উল্লাসিত তার নির্বচিত এলাকার মানুষ। ক্রীড়া সংগঠক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম নূরু জানান, আমরা খুব খুশি। রাসেল সাহেবেকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীকে গাজীপুর বাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।