বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
পুরান ঢাকার চকবাজারে চার তলা একটি বাড়িসহ কয়েকটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৭০ জন নিহত হওয়ার খবর এসেছে। অর্ধশতাধিক আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতের সংখ্যা অর্ধশত বলা হলেও এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে ধারণা করছে অনেকে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের নয় ঘণ্টা পরও আগুন এখোনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের পাশাপাশি বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারও যুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস তরফ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রের কথা জানালেও তা এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন হয়নি বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত নামতে গিয়ে জখম হন অনেকে। লাফিয়ে নামতে গিয়ে হাত-পাও ভেঙেছেন কেউ কেউ।
ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে এখনও আগুন লাগার নির্দিষ্ট কারন জানানো হয়নি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে বলেছে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ফলে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে।
কেউ কেউ বলছে, ট্রান্সফরমার ব্লাস্ট হয়ে পাশে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের উপর পড়ে এবং তা থেকেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আগুন যেভাবেই লাগুক, দোতলার গুদামে দাহ্য পদার্থ থাকায় রাস্তার দুই দিকের ভবনে তা ছড়িয়েছে।”
অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুনে মোট পাঁচটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাহিনীর মহাপরিচালক আলী আহম্মেদ বলেন, সরু ওই সড়কে ভবনগুলো ঘেঁষাঘেষি করে তৈরি করায় আগুন নেভানোর কাজ করতে বেগ পোহাতে হয় অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কর্মীদের। পাশাপাশি ওই এলাকার দোকান ও গুদামগুলোতে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
নয় বছর আগে পুরান ঢাকার নিমতলীতেও অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল রাসায়নিকের গুদামের কারণে। তাতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।