খবরের আলো :
মোঃ আসাদ মাহমুদ – দোহার নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃঢাকার দোহার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টানা দ্বীতিয় বারের মতো চেয়ারম্যান হলেন মোঃ আলমগীর হোসেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর মনোনীত একক প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় বারের মত বিনা প্রতিদন্ধিতায় তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। ঘোষনার পর-পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সমর্থকেরা তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। এ দিকে মঙ্গলবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ জলিল বেপারীর পক্ষ থেকে আলমগীর হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আসছে ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন মাত্র দুই জন প্রতিদ্বন্দ্বি। তাদের মধ্যে থেকে একজন হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও আরেক জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নুরুল ইসলাম বেপারী।
এর পর বুধবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের সময় ভোটার সাক্ষর জটিলতার ফলে নুরুল ইসলাম বেপারীর মনোনয়নটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে আলমগীর হোসেনের মনোনয়ন পত্রটি বৈধতা পায়। সে হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টানা দ্বীতিয় বারের মতো জয়ের নিশানা খুজে পান বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন।
এর আগে ২০১৫ সালে দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হুদার মৃত্যুতে শূন্য হয় দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ। সে বছরই ২১ সেপ্টেম্বরের উপ-নির্বাচনে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিজয় লাভ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আলমগীর হোসেন। তৎকালিন সময়ের উপ-নির্বাচনে তিনি ৫২ হাজার ৭৩২ টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার বিপরীত প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত সিরাজুল ইসলাম ভুলু পেয়েছিলেন ১৫ হাজার ৩৮৮ ভোট।
এর পর বর্তমান ২০১৯ সালে
চতুর্থ ধাপে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে দোহার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দ্বীতিয় বারের উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ লাভ করলেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন।
চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বেক্সিমকো মিডিয়া লিমিটেডের একজন পরিচালক। পাশাপাশি তিনি ‘আনন্দভুবন’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক, সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং দোহার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৬২ সালের ৬ই মার্চ দোহার উপজেলার সুতারপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূ-তত্ত্ব বিভাগে অনার্সসহ বিএসসি এবং ১৯৮৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।