শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:২৮ অপরাহ্ন
খবরের আলো :
শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ : সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় স্হানীয় বখাটেদের সহযোগিতায় মহেন্দ্রদ্ নাথ কর্তৃক জমি দাবী করে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলা বিনেরপোতা গ্রামের মৃত যতিন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে বিমল চন্দ্র মন্ডল।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিনেরপোতা মৌজায় ডিএস-১০৯, এসএ-১৪৫ খতিয়ান ৫৩৬২, ৫৩৬৩ ও ৫৩৬৫ তিনটি দাগে সাড়ে ১৫ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া আমরা তিন ভাই বিমল চন্দ্র মন্ডল, কন্ঠ রাম মন্ডল ও পূর্ণরাম মন্ডল বসত ঘর নির্মান করে দীর্ঘদিন ধরে শান্তি পূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি একই এলাকার সুধন্য কুমার মন্ডলের ছেলে মহেন্দ্র নাথ তার দাদু নকুল কুমার পাড়ইয়ের ওয়ারেশ হিসেবে আমাদের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে তাদের অংশ আছে বলে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের আমিন দ্বারা মাপ জরিপ শেষ সদর থানায় একটি আপোষনামা করিয়া উভয় পক্ষকে জমি বুঝিয়ে দয়া হয়। কিন্তু তারপরও সুধান্য গংরা আবারো জমি দাবী করে আদালত দুটি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে একটি মামলায় তারা হাজিরা না দেয়ায় আদালত সেটি খারিজ করে দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয় সাতক্ষীরা সহকারী জজ আদালত আবারো একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। যার বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মহেন্দ্র নাথ তার দাদু নকুল কুমারের ওয়ারেশ হিসেবে সম্পত্তি দাবী করছে। প্রকৃত পক্ষে বিনেরপোতা মৌজায় ডিএস-১০৯, এসএ-১৪৫ নং খতিয়ানের ৭ টি দাগের মধ্যে ৩ টি দাগ মোট ৬২ শতকের মধ্যে ৩১ শতকের মালিক হীরালাল পাড়ই ও পরেশ নাথ পাড়ই। হীরালালের দুই ছেলে নকুল ও সুশীল। আর পরশ নাথ পাড়ইয়ের এক ছেলে যতিন্দ্র নাথ পাড়ই। সে ক্ষেত্রে ওই ৩১ শতকের মধ্যে হীরা লাল পাবে সাড়ে ১৫ শতক ও পরশ নাথ পাবে সাড়ে ১৫ শতক। আর হীরালালের সম্পত্তি থেকে নকুল পাবে ৭.৭৫ শতক ও সুশীল পাবে ৭.৭৫ শতক। এর মধ্যে নকুলের আবার ৪ ছেলে। এরমধ্যে তিন জন অবিরাম, আশুতোষ ও পরিতোষ ভারতীয় নাগরিক। সে অনুযায়ী নকুলের ৭.৭৫ শতকের মধ্যে সুধন্য ভাগ পাবে ১.৯৩ শতক। তাহলে তারা কিভাবে ১৬ শতক সম্পত্তি দাবী করে এটা আমি বুঝিনা। অথচ বিগত মাপ জরিপের সময় মহেন্দ্র মাপ জারি কারকের ম্যানেজ করে ৭.৭৫ শতক জমি নিজ অবৈধভাবে রেকর্ড করে নেয়। যা জালিয়াতির সামিল। এছাড়া মহেন্দ্রর অত্যাচারে সুধন্য কুমারের তিন ভাই ভারতে যেতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, আমি স্বাস্থ্য বিভাগের একজন অবসরপাপ্ত সরকারী কর্মচারী হওয়ার পরও তারা স্হানীয় বখাটেদের সহযোগিতায় আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
তিনি এ সময় তার কাগজ পত্র সঠিক দাবী করে আরো বলেন, আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মহেন্দ্র নাথ আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দোশ্য প্রনোদিত। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং একই সাথে অনৈতিক দাবীকারী মহেন্দ্র নাথ ও তার ছেলেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।