রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো রিপোটঃ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ‘হত্যাকাণ্ড’ পরিকল্পিত বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি একথা জানায়।
বৃহস্পতিবার সকালে, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাঘাইছড়ি এলাকায় যান। হামলায় আহতদের দেখতে তারা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া প্রশাসন ও হতাহত স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রতিনিধিদল।
এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান দীপক চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কথা বলে যেটা আমরা বুঝতে পেরেছি এটা প্ল্যান্ড অ্যামবুশ। কাছ থেকে টার্গেট করেই গুলি করা হয়েছে। তবে এখনই আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো না। আমরা সব তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
এদিকে, বাঘাইছড়ি হত্যাকান্ডের দু’দিন পর বুধবার অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গেল ১৮ই মার্চ নির্বাচনি দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে, বাঘাইছড়ির নয়মাইল এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে সাতজন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয় আরও ১৭ জন।
ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাম মো. আবদুল হান্নান আরব। এছাড়া স্কুল শিক্ষক আমির হোসেন, মোহাম্মদ তৈয়ব এবং ভিডিপি সদস্য আল আমিন, বিলকিস, মিহির কান্তি দত্ত নিহত হন।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানায়, সোমবার ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন শেষে, নির্বাচনি সামগ্রী নিয়ে তারা বাঘাইছড়িতে যাচ্ছিলেন। বাঘাইছড়ির নয় মাইল এলাকায় তাদের ওপর সন্ত্রাসিরা অতর্কিতে ব্রাশফায়ার করতে থাকে। মুহূর্তেই ছয়জন মারা যান। এ সময় পুলিশ ও আনসারসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭ জন। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি ওসি।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের নিরাপত্তায় তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেনা মোতায়েন থাকাবস্থায় রাঙামাটিতে এ সন্ত্রাসি হামলার ঘটনা ঘটলো।