বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো :
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ : আমরা আর কোনো আতংক চাই না, আমরা হাসতে চাই , আমরা রাস্তাঘাট বন্ধ চাই না। আবার কোন ব্যবসায়ীকে যদি কোন রকমের ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়, উনি যেই হোন না কেন এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও যদি নারায়ণগঞ্জের কোন ব্যবসায়ীকে ক্ষতিগ্রস্থ করেন তাহলে নারায়ণগঞ্জ স্তব্ধ হয়ে যাবে। আমি সাদা পতাকা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে হরতাল মুক্ত করেছি। প্রয়োজনে আবার আমি লাল পতাকা হাতে ওঠাবো। তবুও আমার মা বোন নিশ্চিন্তে রাস্তায় চলতে হবে। আমার ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে হবে। আমাদের কোনো ব্যবসায়ীদের যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না করা হয় অনুরোধ রাখলাম সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে। অন্য জেলা আর নারায়ণগঞ্জ এক না আর কখোনই এক হতে পারে না। এই নারায়ণগঞ্জের সাথে অনেক ইতিহাস জড়িত। ইতিহাস ধরেন, যারা জানে তাদের সাথে দেখা করেন। এমন কিছু করবেন না যাতে ইতিহাস বিকৃত হয়। মনে রাখবেন ইতিহাস কোনো দিন বিকৃত হয় না।
রবিবার (০৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চাষাড়াস্থত নারায়গঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে স্নান উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান একথা বলেন।
তিনি বলেন,আজকে কারা পুকুর দখল করে, কাদের মাধ্যমে আজকে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করা হয় আপনারা তা জানেন। সুতরাং তারা আমাদের খুনি বলবে না তো কে খুনি বলবে। আমরা তাদের জন্যই খুনি। আরে আপনারাই হাকিম, আপনাদের হুকুম , আপনাদেরই পুলিশ! একবার বলেন অমুক বারি মারছে আরেকবার বলেন তমুক বারি মারছে, বিষয়টা কী! তারাতারি করে এটা ঠিক করেন।প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইল, আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে যারা জানে, জ্ঞানী-গুণি ব্যাক্তি যারা ইতিহাস জানে তাদের সমস্যার সমাধান করা। এই বিষয়ে আমি আমার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহদোয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ করলাম। আইন আইনের ধারায় চলবে। আইন কোনো পক্ষ নিবে না। আইনকে আইনের মতো চলতে দিন আপনারা কেউই এ জায়গায় চিরস্থায়ী হয়ে আসেন নাই, আজকে হলেও আপনাকে যেতে হবে আগামী তিন মাস পরে হলেও আপনাকে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়বো। আর এ দায়িত্ব আমাদের সবার নিতে হবে। আসন্ন এই লাঙ্গবন্দ ¯œান উৎসব পবিত্র ও পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করে দেখিয়ে দিবো আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী কতোটা সুশৃঙ্খল। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে যে , ঐস্থানে যাতে কেউ উশৃঙ্খলতার সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা। আমি আশা করি এইসব উৎসবগুলো যদি সুষ্ঠুভাবে পালন করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে জনপ্রতিনিধিদের সাথে প্রশাসনের আর কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।
উক্ত মতবিনিময় সভায় মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ ¯œান উদযাপন কমিটির সভাপতি সরোজ কুমার সাহার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রবীর সাহা, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ ¯œান উদযাপন কমিটির সুজিত সাহা, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবু জাহের, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিখন সরকার, যুগ্ম সম্পাদক উত্তম সাহা প্রমুখ।