সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
খবরের আলো :
আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী পৌর শহরের মফিজ উদ্দিন (এম ইউ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৭০০ জন রয়েছে দু’টি ভবন। দুটি ভবনেরই পলেস্তারা খসে পড়ছে ভীমে ধরেছে ফাটল । বেরিয়ে পড়েছে রড। ক্লাস চলার সময়ই মাঝে মাঝে পলেস্তারা খসে পড়ে। এ অবস্থা জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যেই চলছে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের সমন্বয়ে স্কুলটির ১৩টি শ্রেনী কক্ষের ৭টি পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন।
প্রধান শিক্ষক জানান, ৭০০ ছাত্র/ছাত্রীকে কি ভাবে পাঠদান করাবো বলতে পারছিনা । স্কুলের ভবনের ছাদে ফাটল ভীমে ফাটল খসে পড়ছে পলেস্তারা ভয় ও আতংকের মধ্যে আছে শিক্ষক শিক্ষাথী ও অভিভাবকরা ।
জানা গেছে , আমতলী পৌরশহরের প্রানকেন্দ্রে ১৯৬৯ সালে ২ . ৮৬ শতাংশ জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়টিতে একটি একতলা পাকা ভবন নির্মিত হয়। এরপর ২০০০ সালে আর একটি দোতলা ভবন নির্মিত হয়। ভবন ২ টিতে ১৮ কক্ষ রয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় ৭০০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে ভবন দু,টির অবস্থা খুবই নাজুক। ভবনের ভিম ফেটে রড বেরিয়ে গেছে। খসে পড়ছে পলেস্তারা। দরজা, জানালাও রয়েছে নামমাত্র। প্রায়ই শিক্ষার্থীদের শরীরে খসে পড়ে পলেস্তারা। বৃষ্টি হলেই ছাদ ছুয়ে পড়ে পানি। ওই অবস্থায় জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়েই চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ক্রমশ কমতে শুরু করেছে।
আশপাশের অন্য বিদ্যালয়ে নতুন ভবন থাকলেও তাদের বিদ্যালয়ে জারজীর্ণ ভবন। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। তারা সবসময় ভয়ে থাকে। ওই অবস্থার পরিত্রাণ চায় শিক্ষার্থীরা। স্কুল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের পুরনো বিদ্যালয়টির জরাজীর্ণ অবস্থা থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। খসে পড়ছে বিদ্যালয়ের ভবন দু’টি। ওই অবস্থায় অভিভাবকরা সবসময় তাদের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে থাকেন।
বিদ্যালয়টির ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এনাম আহমেদ পুসান বলেন শ্রেণী কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে আমরা সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকি । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন আরো জানান, বিদ্যালয়ের ভবন দু’টির অবস্থা খুবই খারাপ। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, হলরুমসহ ১৮টি কক্ষ রয়েছে এর মধ্যে সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম,ছাত্রছাত্রী মিলনায়তনসহ ৭টি কক্ষের পলেস্তারা প্রতিদিন খসে পড়ছে দক্ষিন পাশের দ্বিতল ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে যে কোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ৫ বছর ধরে এ অবস্থা শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেসব স্থানে ফাটল রয়েছে, সে স্থানগুলো ফাঁকা রেখে শিক্ষার্থীদের বসানো হয়।বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক জি, এম, ওসমানী হাসান বলেন, বিদ্যালয়টির ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ প্রতিদিন পলেস্তরা খসে পড়ছে । ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকারা আতংকের মধ্যে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান করছে। তিনি বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকমল হোসেন খান বলেন, বিষয়টি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কে অবহিত করেছি। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন বলেন স্কুলের ঝুঁকিপূর্ন কক্ষের পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছি। ভবনের নাজুক অবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।