সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো রিপোটঃ
সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লোডশেডিং প্রকট আকার ধারণ করেছে। উষ্ণ আবহাওয়ার ফলে ভাবসা গরম আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে হাসফাস উঠে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের। ফলে লেখাপড়ার সাধারণ পরিবেশের বিঘ্ন ঘটছে। এদিকে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ‘বারে বারে লোড শেডিং, মানি না মানবো না’, বিদ্যুৎ চাই বিদ্যুৎ চাই, দিতে হবে দিতে হবে’ স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ইবি ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্বতন্ত্র ও ভিআইপি লাইন হলেও গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে লেখাপড়াসহ ক্যাম্পাস জীবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, প্রায় সপ্তাহ ধরে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। রাতে বিদ্যুৎ গেলে আর আসে না। ফলে ডাইনিংয়ে, ওয়াশরুমে যেতে পারছি না। ঠিকমত পড়াশোনা করা যাচ্ছে না।
ওই হলের আরেক শিক্ষার্থী সোহেল রানা ফারুক বলেন, অন্যান্য হলে জেনারেটর ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের হলে গত দুই সপ্তাহ ধরে নেই। ফলে অন্ধকারে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
বঙ্গমাতা ফলিজাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাফসা মরিয়ম বলেন, দিনে তিন থেকে চারবার বিদ্যুৎ যায়। আসে দীর্ঘক্ষন পর। রাতে এই সমস্যা আরোও প্রকট। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জেনারেটর ব্যবস্থা থাকলেও ঠিকমত সে সুবিধা পাইনা।
লালন শাহ হলের নুরুজ্জামান সাগর বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিং আর তীব্র গরমে রুমে টিকতে পারছি না। পরীক্ষা রয়েছে, প্রিপারেশনও নিতে পারছি না।
সাদ্দাম হোসেন হলের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়ে গেছে। রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও কোন সমাধান পাচ্ছি না।
প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক আকরাম হোসাইন মজুমদার, আমি বারংবার প্রকৌশল দফতরে কথা বলেছি। তারা বলছে, সাদ্দাম হল এবং জিয়া হলের জন্য একটি ব্রেকার। ফলে জেনারেটর লোড টানতে পারছে না। লোডশেডিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ চলছে আশাকরি দ্রুতই সমাধান হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, অফিস খুললে ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, আমরা যেখান থেকে বিদ্যুৎ নেই ওই ফিডারে আগুন লেগেছিলো। রিপ্লেসের কাজ চলছে। আশাকরি দ্রুতই সমস্যা মিটবে। জেনারেটরের বিষয়ে তিনি বলেন, লোড টানতে পারছে না। চাপ পড়লে সুইচ পড়ে যাচ্ছে। ফলে হয় লোড বাড়াতে হবে নয়তো রুমে রুমে নেয়া লাইনগুলো খুলে দিতে হবে।