বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো :
মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ থানতলী এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে পরকিয়া বাঁধা দেয়ায় সেলিনা আক্তার (৫০) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী হারুন আর রশিদ নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সকালে কয়েকজন লোক সেলিনা আক্তার নামের এক মহিলাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ডাক্তার চেক আপ করে দেখে মহিলা হাসপাতালে আসার পূর্বেই মারা গেছে। হাসপাতাল থেকে সদর থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে যায়।
নিহত গৃহবধূর পিতা জমির আলী উকিল ও স্বজনরা জানায়, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে শিবচর উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের মানিক মাস্টারের কান্দি গ্রামের জমির আলী উকিলের মেয়ে সেলিনার বিয়ে হয় সদর উপজেলার দুধখালি ইউনিয়নের বড়কান্দি গ্রামের আবু বকর মুন্সীর ছেলে হারুন অর রশীদের সাথে। বিয়ের পর থেকে সেলিনাকে অকারনেই মারধর করতো স্বামী হারুন। তাদের সংসারে এক ছেলেও মেয়ে রয়েছে। দুই বছর ধরে অপর একটি মেয়ের সাথে হারুণ পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে।
এতে বাঁধা দিলে সেলিনার উপর নির্যাতন আরো বেড়ে যেতো। বৃহস্পতিবার ভোরে এরই ধারাবাহিকতায় সেলিনাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আমরা এ হত্যাকান্ডের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
গৃহবধূর স্বামী হারুন আর রশিদ বলেন, এলাকার মানুষের সাথে আমাদের বিরোধ ছিল। ভোরে আমি নামাজ পড়তে গেলে এলাকার মানুষ আমার স্ত্রীকে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, সকালে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে একজন মহিলাকে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চেক আপ করে দেখে তিনি মৃত। পরবর্তীতে আমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি এবং পুলিশ এসে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বললে আমরা ময়না তদন্ত করি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছিনা।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল হাসান বলেন, এক গৃহবধূর মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে পুলিশ। পরবর্তীতে লাশের ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টার পাওয়ার পরে জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা। গৃহবধুর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে আসা হয়েছে।