সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো রিপোটঃ
২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এবছর ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবছর দেশে না থাকায় তিনি ফলাফল ঘোষণা পারেননি তিনি। এজন্য ফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেয়া বাণীতে বলেন, প্রতি বছর আমি সশরীরে উপস্থিত থেকে এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করি এবং তোমাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করি। এ বছর আমি লন্ডনে সফরে থাকার কারণে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলাম। এজন্য আমি তোমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
সোমবার ফলাফল ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রীর বাণীটি পড়ে শোনানো হয়।
এ বছর রেকর্ড ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ শিক্ষার্থী এসএসসি, দাখিল এবং সমমানের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকমণ্ডলীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যে সব শিক্ষার্থী ভাল ফল করেছ, তোমাদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ভবিষ্যতে আরও ভাল ফল করতে হবে। মনে রাখবে তোমরাই আগামীর বাংলাদেশের কর্ণধার। তোমাদেরই এদেশের জনগণ এবং বিশ্বাবাসীর সেবায় নিয়োজিত হতে হবে। এজন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আয়ত্বের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক এবং মানবিকতায় পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে।
যে সব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদেরও ধের্য ধরে মনোযোগ সহকারে আবারো প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই। একাগ্রতা, অধ্যবসায় এবং পরিশ্রম যেকোন অসাধ্যকে সাধন করতে সহায়তা করতে পারে। তোমরা যারা যে কোন কারণেই হোক উত্তীর্ণ হতে পারনি, তোমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এখন থেকে চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই তোমরা এ বাধা অতিক্রম করে ভাল ফল অর্জন করতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাঁর স্বপ্ন ছিল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আনায়নের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র্য নিরক্ষতামুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার।
জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আগামী প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।