মোঃ আয়ুব হোসেন পক্ষী, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোল পোর্ট ও শার্শা থানায় নাশকতার অভিযোগে জামায়াত বিএনপির ১২ নেতা-কর্মিকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি তাজা হাত বোমা উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে ডিবি পুলিশ।
এ বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে সোমবার সন্ধ্যায় শার্শা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-রুহুল আমীন (৪২), মোঃ হাবিব (৪৫), আবু জাফর (৪৫), ও শামছুর রহমান (৫০)আনোয়ার হোসেন আশা (৪৯), আনোয়ার হোসেন বাবু (২৮), বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর জামায়াত নেতা ওহিদুল ইসলাম খোকন (৫২), সাগর হোসেন (৩২), রফিকুল ইসলাম (৪৮), আতিয়ার রহমান (৫৫), মোস্তফা (৪৫), ইসমাইল হোসেন (৫৫),
এই নাশকতার মামলায় পলাতক ২৫ জন আসামিরা হলেন-দক্ষিন বুরুজ বাগানের আব্দুল হাই বিশ্বাস (৫০), মোকলেছুর রহমান (৩৮), কালিয়ানীর আব্দুল হামিদ সরদার (৫২), মহিষাডাঙ্গার মাও. কাছেদ আলী (৫২), খাজুরার রুহুল আমীন (৩৮), বাগআঁচড়ার জামাল (৪৫), পাঁচভুলটের সাজু (৩২), লাউতাড়ার আব্দুল হামিদ. (৫০), জহর আলী (৪৫), রামপুরের তবিবর (৪২), কন্যাদহের মিজান (৩২), ধলদাহর আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) ও মহিষাকুড়ার বাবলু (৪০) বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন (৪৮), যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের ভারত (৪৮), যুবদল নেতা ও বেনাপোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মিলন (৫৩), দক্ষিণ বারপোতার রওশন আলী (৪৫), কাউছার আলী (৪৮), বারপোতা কদমতলার গফফার আলী (৪৭), শ্যামলাগাছীর মোস্তফা কামাল মিন্টু (৩৪), নামাজ গ্রামের ইয়াব আলী (৪৭), সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদ (৫০), হাবুল (৪৫), বেনাপোল কলেজ পাড়ার মোহাম্মদ আলী (৪৪), পুটখালীর লিয়াকত আলী (৪৫),
যশোররের ডিবি পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান গ্রেপ্তার ও মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নাশকতার অভিযোগে সোমবার সকালে নাভারন-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শা উপজেলার যাদবপুর মীম ফিলিং স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে হতে ১৫টি তাজা হাতবোমাসহ জামায়াত বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকীরা পালিয়ে যায়। আটককৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় একটি
মামলা দায়ের করা হয়েছে।