শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো :
শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ: যুগাবতার রামায়নের রামচদ্র লঙ্কার অধিপতি রাবণ বধের পর নবমী তিথিতে ১০৮টি নীল পদ্ম দিয়ে দেবী দুর্গাকে পুজা করছিলেন। তাই বৃহষ্পতিবার মহানবমীত ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্ম দেবী দুর্গা পুজিত হয়েছেন।
এছাড়া নবমী উপলক্ষে বিহিতপুজা,পঞ্চপ্রচার পুজা, পুষ্পাঞ্জলী, প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে হাম যঞ্জের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপুজা কার্যত শেষ হয়ে গেছে। শুক্রবার দর্পণে জল দেওয়ার পর সিঁদুর খেলাসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠিকতার মাধ্যমে বিজয়া দশমী পালিত হবে।
এদিকে আকাশ রুদ্র ঝলমল থাকায় জেলার একপ্রাপ্ত থেকে অপরপ্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন দর্শনার্থীরা। বিশেষ করে পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়িতে নবদুর্গাসহ ২৩০টি প্রতিমা নির্মাণ করায় বিশেষ ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বৃহষ্পতিবার রাত ৮টায় দুর্গাপুজা উপলক্ষে এক আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলাচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ-সদস্য মীর মোস্তাক আহম্মদ রবি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগর সভাপতি সাবেক সাংসদ মুক্তিযাদ্ধা মুনুসর আহম্মদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য গোষ্ট বিহারী মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, সাংগঠণিক সম্পাদক প্রাণনাথ দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিত্যানদ আমিন প্রমুখ। এ ছাড়া রাতে কাটিয়া মায়ের বাড়িতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়াজন করা হয়। সেখানে দু’বাংলার বরণ্য শিল্পীরা মণ্ডপে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে রাখে।
ধর্মর গ্লানি ও অধর্মর বিনাশ, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন, অসুরুপী শক্তি বধও ধর্ম প্রতিষ্ঠায় প্রতি বছর দেবী দুর্গা আবির্ভুত হন।
প্রসঙ্গত, এবারে জেলায় ৫৭৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্গাপুজা উপলক্ষ্য প্রশাসনর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুজা শুরু পর থেকে কোথাও কোন আপত্তিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।