মঙ্গলবার, ০২ অগাস্ট ২০২২, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
খবরের আলো :
শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ: যাত্রা মঙ্গলের জন্যে শুক্রবার সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল নারী, পুরুষ ও শিশুদের উপচে পড়া ভিড়। এর পরপরেই ফুল, বলপাতা, ধান ও দুর্বা দিয়ে চলে অঞ্জলী। ভক্তরা তাদের কামনা বাসনা পুরণের জন্যে মায়ের পায় শ্রদ্ধাঞ্জলী দেয়। দুপুরে দর্পন বিসর্জনের আগেই ঢাক, ঢোল আর কাশীর বাজনায় ফুটে ওঠে মা দুর্গার বিদায়ী বার্তা। ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’ এ বাজনায় ভক্তদের মন বিষাদের ছায়া নেমে আসে। বিকালে মায়েরা একে অপরের কপালে সিদুর রাঙানোর মাধ্যমে শুরু হয় বিসর্জন যাত্রা। কোথাও নদী, কোথাও দীঘি আবার কোথাও পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সাতক্ষীরায় শেষ হয়েছে পাঁচদিনব্যাপি শারদীয় দুর্গাপুজা।
তবে শারদীয় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে মিলন মেলা না হলেও শুক্রবার বিকালে দেবহাটা সীমান্তে ইছামতী নদীতে ভারত ও বাংলাদেশের পারে নিজ নিজ এলাকায় নৌকায় করে প্রতিমার শোভাযাত্রা বর করা হয়। এ দৃশ্য উপভোগ করতে দু’দেশের নদীর তীরে হাজার হাজার মানুষ সমবত হয়। তবে বিএসএফ ও বিজিবি কড়া সতর্ক অবস্থানে থাকায় এক দেশের নৌকা থেকে অন্য দেশের নৌকায় কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। কেউ পারেননি সীমানা অতিক্রম করে অন্য দেশের ভুমিতে অনুপ্রবেশ করতে।
এদিকে পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়িতে প্রতিমা বিসর্জন হবে আগামি সোমবার। নবদুর্গাসহ তৈরি ২৩০টি প্রতিমা দেখতে দর্শণার্থীদের বাড়তি সুযোগ দিতে প্রচলিত রীতি নীতি না মেনেই পুজা পরিচালনা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সোমবার পূজা মন্দির কমিটির লোকজন ও আনছার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করবে বলে জানিয়েছেন পুজা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ব্যানার্জী।
প্রসঙ্গত, এবার জেলায় ৫৭৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপুজা উপলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পুজা শুরুর পর থেকে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।