বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো রিপোর্ট :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তারিখে যথাসময়ে হবে। বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনে সব দলই অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করছি।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট এর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো দলকে নির্বাচন থেকে আমরা বাদ দিতে চাই না। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কী করবে না সেটা সে দলের সিদ্ধান্ত। যেমন-১৯৭০ সালে লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার অর্থাৎ পাকিস্তানের সামরিক শাষক কর্তৃক ঘোষিত এলএফওএ’র অধীনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নির্বাচন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে বলা হয়েছিল নির্বাচন করে লাভ নেই। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন আমি ক্ষমতার জন্য নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমি মানুষের প্রতিনিধিত্ব নির্বাচনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নিবো এবং নিয়েছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন সেজন্যই আমরা আজ স্বাধীন। কিন্তু বাংলাদেশের বিখ্যাত জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী নির্বাচন করেননি। কিন্তু সেজন্য নির্বাচন যে অংশগ্রহণ হয়নি একথা কেউ বলতে পারেনি। সুতরাং কোনো দল যদি নির্বাচনে না যায় সেটা তার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীর দল কিন্তু এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার তো মনে হয় বিএনপি উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আমরা ভুল করেছি। ড. কামালের নেতৃত্বে যে ঐক্যজোট গঠিত হয়েছে নির্বাচনের জন্যই এটি গঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি যদি সংবিধানের মধ্যে থাকি তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার তো কোনো কারণ নেই। কেউ যদি না আসে তাহলে কারো জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। যেমন- ২০১৪ সালের নির্বাচন থেমে থাকেনি। সেটাও বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পারে নাই। সেখান থেকেই শিক্ষা নিয়ে সবাই নির্বাচনে আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কেনিয়াতে নির্বাচন হয়েছে। সেখানেও বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কিন্তু কোনো সমস্যা হয়নি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপি কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্যই ঐক্য করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে গ্রেফতার প্রসঙ্গ আসে, বাণিজ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন-সুনিদিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিশীলতা চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ভালো, আমাদের আমদানি-রফতানি বাড়ছে। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স আমাদের এখন আর প্রয়োজন নাই।