রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
খবরের আলো :
শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ : বাংলাদশ খাদ্য সংকট নেই। এখন সচরাচর না খেয়ে মত্যুর ঘটনাও ঘটে না। তবে পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্যের অভাব এবং অধিক মাত্রায় ভেজাল ও কীটনাশকযুক্ত খাদ্য খেয়ে আমরা রোগ গ্রস্থো হয়ে পড়ছি। এতে শিশুরা জন্মগতভাবে নানা ব্যাধিতে ও আক্রান্ত হচ্ছে । মায়েরা ভুগছে রক্ত স্বল্পতায়। প্রসবকালিন মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে পুষ্টিহীন খাদ্য।
বুধবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়াজিত এক মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। তারা বলেন সমাজ সচেতনতার অভাব এবং খাদ্য নিরাপত্তা আইনের বাস্তবায়ন না থাকায় বিপুল জনগাষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরন পেতে হলে দেশ খাদ্য নীতির পাশাপাশি যুগপোযাগী খাদ্য আইন প্রনয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। সবার মাঝে খাদ্যর বিতরনও নিশ্চিত হওয়া দরকার। এ প্রসঙ্গ তারা সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনের কথাও তুলে ধরেন।
সাতক্ষীরার চুপড়িয়া মহিলা সমিতির সভাপতি মরিয়ম মান্নানের সভাপতিত্বে আলাচনা সভায় বক্তব্যে রাখেন প্রফেসর আবদুল হামিদ, অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, অধ্যক্ষ মাবাশ্বরুল হক জ্যৈতি, সাতক্ষীরা পৌর সভার প্যানেল মেয়র ফারাহ দীবা খান সাথী, পৌর কাউন্সিলর সফিকুদ্দোলা সাগর, সদর উপজলা ভাইস চয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, টিআইবির আবদুল আহাদ, বেসরকারি সংস্থা স্বদেশ এর মাধব চদ্র দত্ত প্রমূখ।
তথ্য উপাত্ত তুল ধরে তারা বলেন দেশের প্রায় দুই কাটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও প্রায় দুই কোটি। সব মিলিয় ৪ কোটি মানুষ দরিদ্র উল্লেখ করে তারা বলেন, এসব মানুষ পুষ্টিযুক্ত খাদ্য বঞ্চিত। তারা আরও বলেন, প্রতিদিন প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন ২১২২ কিলো ক্যালোরি সুষম খাদ্য। পরিসংখ্যান তুলে ধরে বক্তারা আরও বলেন দেশের ৪৪ শতাংশ নারী রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। ৩৬.১ শতাংশ শিশু কম উচ্চতা সম্পন্ন বা খর্বকায় হয়ে পড়েছে। ৩২.৬ শতাংশ শিশু কম ওজন সম্পন্ন। এ ছাড়া ১৪.৩ শতাংশ শিশু কুশকায় হয়ে পড়েছে। পুষ্টিযুক্ত খাবার খেলে তারা এ অবস্থার শিকার হতো না বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন কীটনাশকযুক্ত শাক সবজি খেয়ে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। ভেজাল গুড়ো দুধ, ভেজাল ভোজ্য তৈল এমনকি মাছ ও ফলে ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল বিশেষ করে ফর্মালিন জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে আমরা নানা রোগোর দিক ঝুঁকে পড়ছি বলে উল্লেখ করেন তারা।
খাদ্য অধিকার আমাদের মৌলিক চাহিদার অন্যতম জানিয়ে বক্তারা বলেন খাদ্য অধিকার আইন প্রনয়ন করা হলে এই সংকট থেকে উত্তরন ঘটবে।