মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১, ১০:০০ অপরাহ্ন
খবরের আলো :
শেখ আমিনুর হোসেন,সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ: বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ করে প্রথম বছরেই সফল হয়েছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষক রুহুল আমিন মোড়ল। তিনি উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ানের মুকুদপুর গ্রামের গহর আলী মোড়লের ছেলে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চমূল্য ফসলজাত প্রচলন প্রদর্শনীর আওতায় পিকএসএফ এর অর্থায়নে এনজিএফ এর সহযোগিতায় ৮শতাংশ জমিতে বাউ ড্রাগন ফল-২ (লাল) জাতের চাষ করছেন কৃষক রুহুল আমিন।
কৃষক রুহুল আমিন জানান, সহজ পরিচর্যা ও চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে ১৫ মাসের মধ্যে মাত্র ২০টি গাছ থেকে ১৫০-১৭৫টি ফল পেয়েছেন। যার গড় ওজন ৩০০ গ্রাম। পেয়েছেন উচ্চ বাজার মূল্যও। সহজ পরিচর্যা ও চাষ পদ্ধতির উচ্চ মূল্যের ভিন্ন দেশি ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার লম্বা ক্যাকটাস জাতীয় এ ফলটি নিয়ে এখন স্বপ্ন দেখছেন তিনি। লাভ ভাল পাওয়ায় তিনি আরোও ৩৩ শতাংশ জমি এই ফল চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। পরিকল্পনা রয়েছে বৃহৎ পরিসরে চাষাবাদের। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এখন আগ্রহী হয় উঠেছেন ড্রাগন চাষে। পানি জমে না এমন উচ্চ যো কোন স্থানের মাটিতে এ ফলটি চাষাবাদের যোগ্য। রপ্তানী ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময় এ ফলটি ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড থেকে প্রথমে বাংলাদশে আমদানী করা হলেও এখন পর্যন্ত এর চাষাবাদ ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়নি। বানিজ্যিক ভিত্তিতে সফল ভাবে চাষ করার জন্য বাউ ড্রাগন ফল-১ (সাদা), বাউ ড্রাগন ফল-২ (লাল) এছাড়াও হলুদ ও কালচে লাল জাত রয়েছে। বৎসরের যে কোন সময় চারা রোপণ করা যেতে পারে তবে চারা রোপণের মাস খানেক পূর্ব গর্ত তৈরী করে প্রয়োজনী জৈব রাসায়নিক সার দেওয়া উত্তম। এটি দ্রুত বর্ধনশীল এক বছরের মধ্যেই ৩০টি পর্যন্ত শাখা তৈরী করতে পারে। ১২ থেকে ১৮মাস বয়সের একটি গাছ থেকে ৫ থেকে ২০টি এবং পূর্ণ বয়স্ক গাছ বছরে ২৫ থেকে ১০০টি ফল পাওয়া যায়। গাছের পূর্ণতা পেতে ৩ বছর সময় লাগে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, ড্রাগন ফল রোগ বালাই পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। এটি একটি লাভবান ফল। তাই অপর সম্ভাবনাময় এ ফলটি চাষাবাদ সম্প্রপ্সারিত হলে কৃষককুল লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।