সোমবার, ০১ মার্চ ২০২১, ১১:২১ অপরাহ্ন
খবরের আলো :
মিঠুন বসাক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : পাঁচ বছরেও সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে কলেজ ছাত্রী মুনিয়া আক্তার (১৭) হত্যা রহস্যের জট খোলেনি। উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের রেহাই শুড়িবেড় গ্রামের নান্নু তরফদারের মেয়ে ও নাটুয়াপাড়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মুনিয়ার পরিবার এখনও সঠিক বিচার পাবার আশায় বুক বেধে আছেন।
জানা গেছে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে মুনিয়া অজ্ঞাত একজনের ফোন পেয়ে বাড়ির বাইরে যায়। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে তার নিথর দেহ দেখতে পায়। এই ঘটনায় নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রি কলেজের মুনিয়ার সহপাঠিরা এবং এলাকাবাসি বিচারের দাবীতে মানবন্ধন করে।
পরদিন কাজীপুর থানার এস আই আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে এবং পুলিশ বাদী হয়ে একটি ইউডি মামলা করে। ময়না তদন্তে শ্বাসরোধে হত্যার কথা উলেখ করা হয়। ওই বছর ৭ নভেম্বর মুনিয়ার পিতা নান্নু তরফদার বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ওই মামলায় একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে পরে সে জামিনে বেরিয়ে আসে। এই ঘটনায় আসামী পক্ষের আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মুনিয়ার পিতা নান্নু তরফদার ও মাতা জাকিয়া সুলতানার নামে সিরাজগঞ্জ কোটে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় মুনিয়ার পিতা ও মাতাকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়।
কাজিপুর থানার এসআই হুমায়ুন কবির মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালে ৫ জনের নামে চার্জশিট প্রদান করেন। এখনো পর্যন্ত ওই মামলার স্বাক্ষ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। মুনিয়ার পিতা নান্নু তরফদার জানান, নিজের একমাত্র মেয়েকে হারালাম, উল্টো জেলও খাটলাম কিন্তু আজও বিচার পাইনি। আশায় বুক বেধে আছি বিচারের আশায়।