খবরের আলো :
মো: শাকির আহম্মেদ শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: পানিতে ডুবে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নজরুল, শ্রীমঙ্গল থানা এস আই রফিকুল ইসলাম, ডা: হরিপদ রায়, প্রমুখ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, ৩নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের দক্ষিন ভাড়াউড়া মধ্যপাড়া গ্রামের গৌরাঙ্গ দেব রায়ের ছেলে রাহুল দেব রায়(২২) শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের স্নাতক বিভাগে ভর্তি হয়। গত মঙ্গলবার রাহুল তার অসুস্থ ঠাকুমাকে দেখতে শ্রীমঙ্গল আসে।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাহুল শ্রীমঙ্গল শহরের হাউজিং স্টেট এলাকার ৩ জন সহপাঠি নিয়ে পুকুরে সাঁতার কাটতে গেলে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: সাজ্জাদ ও ডা: মহসিন রাহুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
দেড়ঘন্টা পর চাচা গৌতম দেবরায় রাহুলকে হঠাৎ নড়ে উঠছে টের পেয়ে ‘ছেলেটি মারা যায়নি’ বলে কর্তব্যরত ডাক্তারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একপর্যায়ে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেন।
পরবর্তীতে ডা. সাজ্জাদ শ্রীমঙ্গল থানায় খবর দিলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইটও) ডা. জয়নাল আবেদিন টিটু বলেন, ছেলেটি পানিতে ডুবেই মারা যায়। আমাদের হাসপাতালের দু’জন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ এবং ডা. মহসীন ছেলেটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। তার এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভাঙচুর করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের ছোটভাই হিমেন দেব রায় বলেন,‘খেলার কথা বলে হাউজিং স্টেট যায় দাদা। দাদার সঙ্গের অপর তিন জন সহপাঠি ছিলেন। তবে দাদা সাঁতার জানতো।