সোমবার, ০৮ মার্চ ২০২১, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
খবরের আলো:
রবিবার, ০৮ মার্চ :যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে উলিপুর হাতিয়া গণহত্যার অন্যতম নেপথ্যনায়ক আকবর আলী মাওলানাসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৭ মার্চ) দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় ১২ জন ও রাজারহাট উপজেলায় ১ জন রয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইসিটি বিডি মিসকেস ১/২০২০ এর আওতায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হলে তাদের আটক করা হয়। শনিবার রাতে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানের নির্দেশে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেন। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ১২ জন ও রাজারহাট উপজেলা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ভবেশ ওলামাগঞ্জ গ্রামের তাহের উদ্দিনের পুত্র মাও. আকবর আলী (৯০), গোড়াই কল্যাণ গ্রামের মৃত. মতিউল্যাহর পুত্র আব্দুর রহমান (৬২), গোড়াই গ্রামের মৃত. আব্দুল জব্বারের পুত্র নুরুল ইসলাম (৬৯), গোড়াই কল্যাণ পাড়া গ্রামের মৃত. বছিয়ত উল্যাহর পুত্র সোলায়মান আলী (৭০), গোড়াই কল্যাণ হাজী পাড়া গ্রামের মৃত. আফান উল্যাহ ব্যাপারীর পুত্র ওছমান আলী (৭০), শ্যামপুর গ্রামের মৃত. এরফান উদ্দিন সরকারের পুত্র ইসমাইল হোসেন (৬২), গোড়াই মাষ্টারপাড়া গ্রামের মৃত. আব্দুল জব্বারের পুত্র আ. রহিম (৬৪), গোড়াই মিয়াজীপাড়া গ্রামের মৃত. ফজল উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কাদের (৬২), মালতিবাড়ি দিগর গ্রামের মৃত. শমস উদ্দিনের পুত্র শেখ মফিজল হক, অনন্তপুর ডোবারপাড়া গ্রামের মৃত. ডা. নাজিম উদ্দিনের পুত্র মাও. সাইদুর রহমান (৭০), অনন্তপুর সরকারপাড়া গ্রামের মৃত. আমিন উদ্দিনের পুত্র শাহজাহান আলী (৭০), শ্যামপুর গ্রামের মৃত. এরফান আলীর পুত্র ইছাহাক আলী (৮০) ও রাজারহাট উপজেলার বালাকান্দি উত্তর নলকাটা গ্রামের মৃত. শরফ উদ্দিনের পুত্র মকবুল হোসেন ওরফে মকবুল দেওয়ানী (৭০)।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি ওয়ারেন্টমূলে উলিপুরে একটি যুদ্ধাপরাধ মামলায় ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত হয়ে উলিপুর ও রাজারহাট উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আসামিরা মূলত যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি তাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোর্টে পাঠানোর জন্য।