বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো :
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ করতে তৎপরতা শুরু করেছে চীন। এই অভিযোগ করেছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং। আগামী ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (চীন) চায় না আমি বা আমরা জয়লাভ করি। কেননা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি চীনা বাণিজ্যকে চ্যালেঞ্জ করেছি।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টিপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছে যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক অস্ত্র কেনার ঘটনায় সম্প্রতি চীনা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষুব্ধ বেইজিং। এ পরিস্থিতিতে চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে ২০১৮ সালের নভেম্বরে যে নির্বাচনে হতে চলেছে তাতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে চীন। তারা আমার প্রশাসনের বিরুদ্ধে কাজ করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা চায় না আমি বা আমার সরকার নির্বাচনে জয়লাভ করি। কেননা আমিই হচ্ছি প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে চীনা বাণিজ্যকে চ্যালেঞ্জ করেছি।’
তবে চীনের বিরুদ্ধে এই বাণিজ্য যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী দাবি করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই জয়ী হব।’
এসময় সাংবাদিকরা তার কাছে প্রমাণ চাইলে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তাদের কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন ট্রাম্প।
এদিকে তার এই অভিযোগকে ‘অন্যায়’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং। চীনা পররাষ্টমন্ত্র ওয়াং ই বলেন, চীন কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না। এটাই চীনা পররাষ্ট্র নীতির ঐতিহ্য।
এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়া কাজ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে মার্কিন বিচার বিভাগ। এই তদন্ত শেষ না হতেই চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন ট্রাম্প। সূত্র: বিবিসি