শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
মিঠুন বসাক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান রাজনৈতিক সংলাপে এবার যমুনার ভাঙ্গন কবলিত সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ব্রা²নগ্রাম থেকে ভেকা পাঁচিল পর্যন্ত অবশিষ্ট ৬ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় তার সাথে সংলাপ দাবী করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (৩ নভেম্বর) থানার ঘাটাবাড়ি ও আড়কান্দিতে নদী তীর জুড়ে সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে বিশাল মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে এই দাবী জানান তারা।
এলাকা বাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত প্রায় ১০ বছর ধরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যাল হতে দক্ষিণে ভেকা-পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন চলমান। দীর্ঘ দিন এলাকার ভাঙ্গন রোধে কাজের ব্যাপারে শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন এলাকার এমপি-মন্ত্রী, নেতা ও আমলারা। কিন্তু এতো দিনেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু বিলীন হয়েছে অন্তত ৩ হাজার ঘর-বাড়ি, অসংখ্য আবাদী জমি। এরা সবাই নিঃস্ব ও ছন্নছাড়া। এখন বাকি যে এলাকাটুকু রয়েছে তারা শুধু ভাঙ্গন আতংকে হাহাকার করছে। অনেকেই সব কিছু হারিয়ে নদীর পাড়েই বসবাস করছে। নদীতে পানি কমতে থাকায় গত ২ সপ্তাহ ধরে ভাঙ্গনও বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু অতীতের মতই প্রতিকারে কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের রক্ষার দাবীতে এলাকার ১০ গ্রামের মানুষ শনিবার মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
সকাল থেকেই বিভিন্ন বয়সী হাজারো মানুষ আসতে শুরু করে এতে। বাধ যায়নি গায়ের বধুরাও। এরপর শুরু হয় এই কর্মসুচি। কর্মসুচিতে স্থানীয় সমাজ সেবক আব্দুল মতিন ব্যাপারীর সভাপতিত্বে শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাদ রহমান শাহজাহান, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মুলুক চাঁদ মিয়া, হাজী সুলতান মাহমুদ, এনায়েতপুর থানা জাতীয় পাট্রির সভাপতি ফজলুল হক ডনু, ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন, শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুস ছালাম, হাবিব সরকার, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের সবাই আশ্বাস দিয়েছিল কিন্তু ১০ বছরেও বাঁধ হয়নি। এটা যদি কাজিপুর বা সিরাজগঞ্জ সদর হতো তাহলে ধস নামামাত্র প্রতিকারে ব্যবস্থা শুরু হয়ে যেত। আমরা সাধারন মানুষ তাই কারো নজর নেই। আমরা এখন যাব কোথায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাধ দিয়ে আমাদের বাঁচান।
তারা দাবী করে আরো বলেন, অবাধ-সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সংলাপ করছেন। আমরাও তার সাথে সংলাপ করতে চাই। আমাদের সময় দিন। আমরা আপনার সাথে কথা বলবো। কেউ কথা রাখেনি। আপনিই আমাদের শেষ আশ্রয়। নদীর তীর সংরক্ষনে বাঁধ দিন, আমাদের জীবন বাঁচান।