তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে পতাকা দিয়েছেন, মানচিত্র দিয়েছেন, ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তার ওপরে হামলা মানে সংবিধানের ওপর হামলা, এ দেশের জনগণের ওপর হামলা। রাষ্ট্র অবশ্যই তার বিধিবিধান অনুযায়ী যে কোনো ধরনের হামলা কঠোর হস্তে মোকাবিলা করবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ করার দুঃসাহস দেখাবেন না, জাতি এটা মেনে নেবে না, বরদাশত করবে না। ধর্মকে পুঁজি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টাকারীদের প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তারা পিছপা হবেন না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষের কিন্তু আলেমদের, ইমামদের প্রতি অনেক আস্থা ও অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। রুহানি আলেমরা কখনোই তরবারি প্রয়োগের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করেন না। তারা ভালোবাসার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী প্রচার করেছেন, হাজার হাজার মানুষকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন। একসময় হুজুররা বলতেন টিভি দেখা হারাম, ইউটিউব দেখা হারাম, এখন দেখছি একশ্রেণির হুজুর, কোনো কিছু ঘটার আগেই মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন কোনটা হারাম, কোনটা হালাল।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ। কেউ কেউ কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ দেশকে মৌলবাদী চরিত্রের তকমা লাগানো চেষ্টা করছেন। কিছু হলে ঢাকা শহরে জঙ্গি মিছিল দেখা যায়। বিশ্বের অন্যান্য ইসলামি দেশে এ ধরনের জঙ্গি মিছিল করতে দেখা যায় না। কথায় কথায় আমাদের দেশে জঙ্গি মিছিল কেন দিচ্ছেন, কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চান আপনারা।
বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের একশ্রেণির হুজুর সিংহাসনে বসে উত্তেজিত বক্তব্য রাখেন অথচ নবী করিম (সা.) মসজিদে বসে রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। আমরা চাই যারা মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে আসবে তারা খাসজমিতে মসজিদ বানাবে না, মাদ্রাসা বানাবে না। ধর্ম বিশ্বাসকে যারা ব্ল্যাকমেইল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।