শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
খবরের আলো ;
নিজস্ব প্রতিবেদক:
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ১২ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এখানকার চারটি ক্যাম্পের ১০ হাজারের বেশি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে অর্ধ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশে, পাহাড়, জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। ঘটনা তদন্তে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ছয় শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আজাদ মিয়া। তবে রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত এনজিওদের সমন্বয়কারী সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) দাবি করেছে, অগ্নিকাণ্ডে ১০ হাজার ঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৫ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫০ জন। গৃহহীন হয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গা। আর জাতিসংঘের শরণার্থী–বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জন মারা গেছেন।
নিহত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন রফিক আলম (২৫), আবদুল্লাহ (৮), আসমাউল (৭), মিজানুর রহমান (৪), বশির আহমদ (৬৫), খতিজা বেগম (৭০), মো. একরাম (৩), এমদাদ উল্লাহ (২৪)।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিন আল পারভেজ আজ বিকেল পাঁচটায় বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াতকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এপিবিএনের অধিনায়কসহ বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার থেকে তদন্ত শুরু হবে। গৃহহীন রোহিঙ্গাদের অনেকে দাবি করেছেন, পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাশাপাশি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে চান তাঁরা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও সেটি পরিকল্পিত কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় প্রশাসন।