শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
খবরের আলো ডেস্ক:
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সুনামি ঢেউয়ের বেশকয়েকটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেগুলোতে, বিশাল সামুদ্রিক ঢেউয়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। ভয়ার্ত লোকজন চিৎকার করে কাঁদছে, কেউ কেউ ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুনামির আঘাতে অনেক ঘরবাড়ি ও মসজিদ ভেঙে পড়েছে। প্রচুর গাছপালাও ভেঙে পড়েছে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে পালু শহরজুড়ে এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে পাশ্ববর্তী মৎস্যজীবীদের শহর ডোঙ্গালার বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এ কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা প্রধান দ্বিকরিতা কর্নওয়াতি বিবিসিকে বলেন, ‘সুনামি থেমে গেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছে, ধসে যাওয়া দালানের নিচে বা উপকূলে থেমে থাকা জাহাজে কেউ আটকে আছে কি না তা দেখার চেষ্টা করছে।’
তবে প্রাথমিক পর্যায়ে তারা জানায়, ভেঙেপড়া দালানের ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলজুড়ে দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। নিহতদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ইন্দোনেশীয় ছিল।
ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। কারণ এটি ‘রিং অব ফায়ার’ নামক ভয়াবহ এক আগ্নেয়গিরির চক্রের ওপরে অবস্থান করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের চাইতে ওপর যাদের অবস্থান সারা দুনিয়ার এমন যত জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে তাদের অর্ধেকের বেশি এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত।